ইসলামের তারকাগণ || চতুর্থ পর্বঃ হযরত আবু যর গিফারী রাদিয়াল্লাহু আনহু

0
3089

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে,  আবু যরের রাদিয়াল্লাহু আনহুর চেয়ে সত্যবাদী কাউকে আকাশ ছায়া দান করেনি, এবং মাটিও বুকে বহন করেনি। (আল হাদিস)

 আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহুর পরিচিতি

 

তাঁর নাম আবু যর গিফারী জুনদুব ইবনে জুনাদাহ । তিনি মক্কা-মদীনার মধ্যবর্তী গিফার গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। গিফার গোত্রটি আরবের মধ্যে দস্যুদের গোত্র বলে পরিচিত ছিল। তারা পথিক ও ব্যবসায়ী কাফেলার উপর আক্রমণ করে জোরপূর্বক তাদের ধন-সম্পদ ছিনিয়ে নিত।

আবু যর ছিলেন একজন বীরপুরুষ । ডাকাতি করতে তাঁর দলের প্রয়োজন হতোনা, তিনি একাই ডাকাতি করতেন। শেষ রজনীর আবছা আলোয় কখনো ঘোড়ায় চড়ে, কখনো বা পায়ে হেঁটে লোকদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তেন এবং তাদের সর্বস্ব লুটে নিতেন।

তবে, আবু যর গিফারীর মধ্যে একটি উত্তম বৈশিষ্ট ছিল; তিনি ছিলেন একত্ববাদে বিশ্বাসী। তিনি ইসলাম গ্ৰহণের পূর্বেও কোন দিন মূর্তির সামনে মাথানত করেননি।

 

আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহুর ইসলাম গ্রহণ

 

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- হযরত আবু যর ( তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে) বলেন, আমি গিফার গোত্রের একজন লোক। আমাদের কাছে সংবাদ পৌঁছল যে, মক্কা নগরীতে একজন লোক আত্মপ্রকাশ করেছেন ,যিনি নিজেকে নবী দাবী করেন। তখন তাঁর বিষয়ে জানার জন্য আমি আমার ভাইকে মক্কায় প্রেরণ করলাম। আমার কথা মতো আমার ভাই মক্কায় গেল এবং লোকটির সাথে সাক্ষাত করে অল্পকিছু তথ্য নিয়ে ফিরে আসল। সে ফিরে আসলে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, কী সংবাদ নিয়ে আসলে? সে বললো, আল্লাহর কসম! তিনি মানুষকে ভালো কাজের নির্দেশ দেন আর খারাপ কাজ থেকে বারণ করেন।

আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- আমার ভাইয়ের কথা শোনে আমি বললাম, তোমার সংবাদে আশ্বস্ত ও তৃপ্ত হতে পারলাম না । আমি কাল বিলম্ব না করে ছোট একটি পানির মশক ও ছড়ি নিয়ে মক্কার দিকে ছুটলাম।

মক্কায় পৌঁছে লোকটিকে আমি খুঁজে বেড়াতে লাগলাম। কিন্তু আমি তাঁকে চিনতাম না, আর কাউকে জিজ্ঞেস করবো তাও সমীচীন মনে হচ্ছিল না। আমি জমজমের পানি পান করতাম এবং বায়তুল্লাহতে সময় পার করছিলাম।

এমতাবস্থায় হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু আমার পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। আমাকে দেখে বললেন, মনে হচ্ছে আপনি ভিনদেশী। আমি বললাম, জি হ্যাঁ । হযরত আলী রা. বললেন- ঠিক আছে আমার সাথে বাড়িতে চলুন। আবু যর বলেন- আমি আলীর প্রস্তাবে রাজি হয়ে তাঁর সাথে চলতে শুরু করলাম । যাওয়ার পথে তিনি  আমাকে  কিছুই জিজ্ঞেস করলেন না। আমিও নিজের পক্ষ থেকে তাঁকে কিছু বলতে যাইনি। লোকটির ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে পরের দিন সকাল সকাল মসজিদে ফিরে আসলাম। কিন্তু  তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার মত কাউকে খুঁজে পাইনি।

আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- আমি ভারাক্রান্ত মনে, পেরেশান হয়ে মসজিদে বসে রইলাম। এ মুহূর্তে হযরত আলী আসলেন। তিনি বললেন- আপনি কি এখনো নিজ গন্তব্য ঠিক করতে পারেননি? আমি বললাম, না। হযরত আলী বললেন- ঠিক আছে আমার সাথে চলুন। আমি তাঁর সাথে চলতে লাগলাম। চলার পথে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাকে জিজ্ঞেস করলেন- বলুন তো, আপনি আসলে কী চান? কী উদ্দেশ্যে এ শহরে আপনার আগমন? আমি উত্তর দিলাম- আপনি যদি আমার বিষয়টি গোপন রাখেন, তাহলে আমার আসার উদ্দেশ্য বলতে পারি। হযরত আলী বললেন, আপনি যা বলছেন তাই হবে।

আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- আমরা সংবাদ পেয়েছি, মক্কায়  এক লোক আত্মপ্রকাশ করেছেন, যিনি নিজেকে নবী দাবী করেছেন। এ সংবাদ শুনার পর তাঁর বিষয়ে জানতে আমার এক ভাইকে এখানে পাঠিয়ে ছিলাম।  কিন্তু সে আমাকে যতটুকু বলতে পেরেছে তাতে আমি পরিপূর্ণ আশ্বস্ত ও তৃপ্ত হতে পারিনি।  তাই বিষয়টি জানতে নিজেকেই আসতে হল।

হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর কথা শুনে বললেন-  আপনি ঠিক জায়গাতেই এসেছেন। এইতো আমিও তাঁর কাছেই যাচ্ছি। একটু দূরত্ব বজায় রেখে আমার পেছন পেছন চলুন। আপনার বিপদের কারণ হতে পারে এমন কাউকে দেখলে জুতা ঠিক করার ভান করে আমি বসে পড়ব। কিন্তু আপনি থামবেন না।

যাইহোক আমরা উভয়ে চলতে লাগলাম। এক পর্যায়ে আমরা উভয়ে নবীজীর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। আমি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললাম- হে আল্লাহর রাসূল! আমার কাছে ইসলাম পেশ করুন। তিনি ইসলাম পেশ করলেন। আমি ইসলাম গ্রহণ করে ধন্য হলাম।

আবু যর বলেন- আমি মুসলমান হওয়ার পর, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেন- হে আবু যর! তুমি ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি গোপন রেখো এবং বাড়ি ফিরে যাও। যখন আমাদের বিজয়ের সংবাদ শুনবে তখন ফিরে এসো। আমি বললাম- ঐ সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্য দ্বীন দিয়ে প্রেরণ করেছেন,অবশ্যই আমি মক্কার মুশরিকদের সামনে চিৎকার করে ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা করবো।

অতঃপর আমি মসজিদে প্রবেশ করলাম, ওই সময় কুরাইশের একটি দলও সেখানে উপস্থিত ছিল। আমি বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করলাম হে কুরাইশ ! তোমরা ভালো করে শুনে রেখ- আমি একথার সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কোনো প্রকৃত ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। তখন তারা বলল,এই বিধর্মীটাকে এখনি উচিত শিক্ষা দেয়া হোক। তারা আমাকে মেরে ফেলার জন্য আমার উপর হামলে পড়ল। হযরত  আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু তা দেখে উপুড় হয়ে পড়ে যান এবং আমাকে উদ্ধার করেন।

তিনি কুরাইশদের লক্ষ্য করে বলেন-  তোমারা এসব কী করছো, তোমরা কি গিফার গোত্রের এক ব্যক্তিকে হত্যা করতে চাচ্ছ? এতে তোমাদের ব্যবসার পথ বন্ধ হয়ে যাবে । আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর কথা শোনে তারা নিবৃত হল।

পরের দিন সকালে আবার আমি মসজিদে গেলাম এবং গতকালের মতো আজও আমার ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি জোর গলায় ঘোষণা করলাম। কুরাইশের লোকেরাও গতকালের মতোই আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাকে  উদ্ধার করলেন এবং এর পরিণতি সম্পর্কে তাদেরকে সাবধান করলেন।

হযরত আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু মুসলমান হয়ে ফিরে এসে নিজ গোত্রে নবীজীর ওয়াসিয়্যাত বাস্তবায়ন করলেন। মূর্তি পূজা বর্জন করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনতে মানুষদেরকে উদ্বুদ্ধ করেন।  তাঁর দাওয়াতে সর্ব প্রথম ইসলাম কবুল করেন তাঁর ভাই আনীস ইবনে জুনাদাহ। তারপর ইসলাম গ্ৰহণ করেন তাঁর মা। তারপর একে একে তাঁর গোত্রের অর্ধেক লোক ইসলাম গ্ৰহণ করেন। আর বাকি অর্ধেক বললেন যে, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদীনায় আগমন করবেন তখন আমরা তাঁর হাতে ইসলাম গ্রহণ করব।

নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনায় আগমন করলে, সবাই নবীজীর কাছে উপস্থিত হলেন। তাঁরা বললেন- হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের ভাইদের মত আমরাও ইসলাম গ্রহণ করলাম। এভাবে তাঁরা মুসলিমদের কাফেলায় শামিল হয়ে গেলেন। তখন আল্লাহর রাসূল তাঁদের জন্য দুআ করলেন ‘ গিফার গোত্রের লোকদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করুন, আসলাম গোত্রকে নিরাপত্তা দান করুন। ‘

হযরত আব যর রাদিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন প্রথম দিকে ইসলাম গ্রহণকারী বড় বড় সাহাবীদের একজন। তিনি ছিলেন প্রথম দিকে ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে পঞ্চম ব্যক্তি। তিনি মুসলিম হলে, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর এবং মুনযির ইবনে আমরকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন।

ইসলাম ধর্মে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সালামের মাধ্যমে সর্বপ্রথম যিনি অভিবাদন জানান তিনি হচ্ছেন হযরত আবু যর গিফারী রাদিয়াল্লাহু আনহু। আবু যর গিফারী রাদিয়াল্লাহু আনহু সে সকল ভাগ্যবান ব্যক্তিদের একজন যাঁদেরকে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুব বেশি ভালোবাসতেন।

নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবু যর গিফারীর এমন দুটি বৈশিষ্টের কথা বর্ণনা করেছেন যা কখনো তাঁর থেকে পৃথক হয়নি এবং জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তা পরিলক্ষিত হয়েছে । গুণদুটি হচ্ছে, সততা ও নিঃসঙ্গতা।

হযরত আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু সত্য প্রকাশে কখনো পিছপা হননি । যার কারণে তাঁকে পোহাতে হয়েছে অনেক দুঃখ-কষ্ট ও জুলুম নির্যাতন।

যেই গুটিকতক সাহাবী কোরায়শের লোকদের সামনে প্রকাশ্যে ইসলামের ঘোষণা দিয়েছিলেন আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন তাঁদের অন্যতম।

নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন তাবুক যুদ্ধে বের হলেন তখন কিছু লোক যুদ্ধে যাওয়া থেকে পিছিয়ে যাচ্ছিল । তখন কেউ কেউ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! অমুক ব্যক্তি যুদ্ধে আসেনি। পিছিয়ে গেছে। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- তাকে পেছনেই থাকতে দাও যদি তার মধ্যে কোন কল্যাণ থাকে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে তোমাদের সাথে অচিরেই মিলিত করবেন। আর যদি কোন অকল্যাণ থাকে, তাহলে জেনে রেখ, আল্লাহ তায়ালা তার অনিষ্ট থেকে তোমাদেরকে নিরাপদ রেখেছেন।

এক পর্যায়ে বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! আবু যরও পেছনে রয়ে গেলেন। উটের কারণে তিনি পেছনে পড়ে গেছেন।  নবীজী বললেন- তাঁর পথে তাঁকে ছেড়ে দাও। তাঁর মধ্যে যদি আল্লাহ তায়ালা কোনো কল্যাণ রেখে থাকেন তবে অচিরেই তাঁকে তোমাদের সাথে মিলিয়ে দিবেন। আর যদি কোন অকল্যাণ থাকে তাহলে তাঁর অনিষ্ট থেকে তোমাদেরকে নিরাপদ রেখেছেন।

হযরত আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহুর উট তাঁকে নিয়ে ধীরে ধীরে চলছিল। তিনি তাড়াতাড়ি অগ্রসর হতে চাচ্ছিলেন, কিন্তু উটের কারণে পারছিলেন না। তিনি উট থেকে নেমে পড়লেন। সকল জিনিসপত্র মাথায় নিয়ে পায়ে হেঁটে নবীজীর পথে ছুটতে শুরু করলেন।

নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক জায়গায় যাত্রা বিরতি করলেন। এক সাহাবী নবীজীকে বললেন- হে আল্লাহর রাসূল! ওই একজন লোক দেখা যাচ্ছে ,তিনি পায়ে হেঁটে এগিয়ে আসছেন। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন- “ তুমি যেন আবু যর হও।” লোকেরা কিছুক্ষণ  পর্যবেক্ষণের পর বলল- হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কসম, সত্যিই তিনি আবু যর! তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে তাঁর জন্য দুআ করলেন।  আল্লাহ আবু যরের উপর রহম করুন, তিনি একাকী পথ চলেছেন, একদিন তিনি একাকী মৃত্যুবরণ করবেন আবার একাকী পুনরুত্থিত হবেন।

 

আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহুর বাণী

 

‘হে লোক সকল! তোমরা হজ্জ পালন করো কারণ আগত বিপদ বড় বিভীষিকাময়!’

‘তোমরা তীব্র গরমের দিনে সিয়াম সাধনা করো কারণ হাশরের দিনটি অত্যন্ত দীর্ঘ।’

‘তোমরা  রাতের নির্জনতায় দুই রাকাত সালাত আদায় করো- কারণ কবর বড়ই নির্জন।’

 

হযরত আবু যর গিফারী রাদিয়াল্লাহু আনহুর মৃত্যু

 

হযরত আবু যর গিফারী রাদিয়াল্লাহু আনহু যাবাদাহ নামক স্থানে ৩২ হিজরী তথা ৬৫২ ঈসায়ীতে ইন্তেকাল করেন।

 

তথ্যসূত্র:

 

১/ মাওকায়ে কিচ্ছাতুল ইসলাম – ড. রাগেব সারজানী

২/ আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া- আল্লামা ইবনে কাসীর

৩/ সিয়ারু আলামিন নুবালা- আল্লামা হাফেজ শামসুদ্দীন যাহাবী

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধফটো রিপোর্ট || ৩০শে শাওয়াল, ১৪৪০ হিজরী || তানযিম হুররাস আদ-দ্বীনের ‘আবু মু’য়তাসীম আদ-দারী’ কমান্ডো অভিযান!
পরবর্তী নিবন্ধফটো রিপোর্ট || ৬ই জিলক্বাদ, ১৪৪০ হিজরী || লাতাকিয়ার তুর্কমান অঞ্চলে নুসাইরীদের উপর হামলার পূর্বপ্রস্তুতি, শত্রুঅঞ্চলে প্রবেশ এবং হামলা পরবর্তী দৃশ্য!