হক্কানি ও ন্যায়পরায়ণ আলেমের একটি বৈশিষ্ট্য ও দায়িত্ব -মুফতি আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল-মাহদী হাফিজাহুল্লাহ

0
2446
হক্কানি ও ন্যায়পরায়ণ আলেমের একটি বৈশিষ্ট্য ও দায়িত্ব  -মুফতি আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল-মাহদী হাফিজাহুল্লাহ

রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
يحمل هذا العلم من كل خلف عدوله ينفون عنه تحريف الغالين، وانتحال المبطلين، وتأويل الجاهلين. مجمع الزوائد برقم: 601

“এই ইলম (ইলমে দ্বীন) বহন করবে প্রত্যেক উত্তরসূরীর ন্যায়পরাণরা। তারা এই ইলম থেকে সীমালঙ্ঘনকারীদের বিকৃতি, বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচার এবং অজ্ঞদের অপব্যাখ্যা অপসারণ করবে”। (মাজমাউয যাওয়াইদ, হাদীস নং ৬০১)
.
‘সীমা লঙ্ঘনকারীদের বিকৃতি’ মানে, কোরআন সুন্নাহর ব্যাখ্যায় এমন বিষয় যুক্ত করা, যা উক্ত আয়াত ও হাদীস দ্বারা আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উদ্দেশ্য নয়। অথবা কোরআন সুন্নাহর ব্যাখ্যা থেকে এমন কোনো অংশ বিযুক্ত করা, যা বস্তুত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উদ্দেশ্য।
.
‘বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচার’ মানে, অন্যায়ভাবে শরীয়ত সম্পর্কে মিথ্যা বলা। যেমন যে কথা আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেননি, সে কথা সম্পর্কে বলা যে, এটা আল্লাহ বলেছেন বা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন।
.
‘অজ্ঞদের অপব্যাখ্যা’ মানে, যারা না জেনে কোরআন সুন্নাহর ভুল ব্যাখ্যা করে।
.
উপরোক্ত বিষয়গুলো যে আলেমরা ধরিয়ে দিবেন এবং উম্মতকে সে বিষয়ে সতর্ক করবেন, তারাই প্রকৃত ন্যায়পরায়ণ ও হক্কানি আলেম। পক্ষান্তরে যারা উম্মতের মাঝে এমন অন্যায় কর্মগুলো দেখেও কিছু বলবেন না, ভুলগুলো ধরিয়ে দিবেন না, উম্মতকে সতর্ক করবেন না, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দৃষ্টিতে তারা হক্কানি ও ন্যায়পরায়ণ আলেমদের উক্ত বৈশিষ্ট্য থেকে বঞ্চিত।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধদখলদারিত্বের অবসান চায় আফগান জাতি!
পরবর্তী নিবন্ধমুভ করছে মুভ ফাউন্ডেশন!