একদিকে পুরো আফগান জুড়ে তালেবানদের হাতে পরাজিত হয়ে লেজ গুটিয়ে পালাচ্ছে ক্রুসেডার আমেরিকা ও তাদের গোলাম আফগান মুরতাদ সেনারা। অন্যদিকে নিজেদের এই পরাজয়কে ঢাকতে, নিজেদেরকে বীর যোদ্ধা হিসেবে উপস্থাপন করতেও ব্যস্ত এরা। তবে, তাদের এই যুদ্ধ মুজাহিদগণের বিরুদ্ধে নয়। নিরপরাধ নিরস্ত্র মানুষদের বিরুদ্ধে। যুদ্ধের ময়দানে লাঞ্চনাকর পরাজয়ের পর এই কুফ্ফার ও মুরতাদ সেনারা নিজেদের বীরত্ব প্রকাশ করতে হামলা চালায় নিরপরাধ সাধারণ আফগান মুসলিমদের উপর। আকাশ ও স্থল পথে বোমা হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জনসাধারণের ঘর-বাড়ি ও দোকান-পাট, লুট করে নেয় তাদের সব কিছু।
গত শনি ও রবিবার আফগানিস্তানের অনেক স্থানেই এ ধরণের সন্ত্রাসী হামলা চালায় ক্রুসেডার আমেরিকা ও তাদের গোলাম আফগান সেনারা। অথচ, তারাই আবার শান্তি প্রতিষ্ঠার মুখোশ পরে পৃথিবীতে নিজেদের শান্তিবাদী হিসেবে প্রকাশ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এরাই পৃথিবীর দিকে দিকে শান্তি প্রতিষ্ঠার আড়ালে সন্ত্রাসী করে যাচ্ছে, হত্যা করছে নিরপরাধ মানুষকে, লুটে নিচ্ছে মানুষের ধন-সম্পদ।
গত রবিবার রাত ১১টার সময় যখন নিরব নিস্তব্ধ পুরো আফগান, তখন ফারয়াব প্রদেশের গার্জিওয়ান জেলায় সাধারণ আফগানীদের বসতবাড়ির উপর অমানবিক বোমা হামলা চালায় সন্ত্রাসী কুফ্ফার বাহিনী। যার ফলে ৪টি ঘর ধ্বংস হয়ে যায় এবং নিহত হয় ৬ জন মহিলা, ২ শিশু ও ৪জন লোক, আহত হয় আরো ২ জন।
কুন্দুজ ও মায়দান প্রদেশেও নিরপরাধ সাধারণ মুসলিমদের উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসী কুফ্ফার ও মুরতাদ বাহিনীর সদস্যরা ।
যার ফলে কুন্দুজে মহিলা ও শিশুসহ ৮ জন গ্রামবাসী শাহাদাত বরণ করেন। একইভাবে মায়দানেও হামলা চালিয়ে আরো ৮ জন গ্রামবাসীকে হত্যা করে ক্রুসেডার ও মুরতাদ বাহিনীর সদস্যরা।
এমনিভাবে রোজগান প্রদেশে হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষদের স্বাভাবিক জীবনযাপন বাধাগ্রস্ত করে দেয় এই কুফ্ফার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা।
কুফ্ফার বাহিনীর সদস্যরা হেলিকপ্টার দিয়ে বোমা হামলা চালিয়ে প্রথমে একজন ইমাম সাহেব ও মসজিদে ইলম অন্বেষণরত ৬ শিশুকে হত্যা করে।
একইভাবে অন্য একটি মসজিদে বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় আরো ৬ শিশুকে। এছাড়াও হত্যার শিকার হন আরো ২জন গ্রামবাসী।
এদিকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় আরো ৫ শিশুকে। এভাবেই আফগানিস্তানে শান্তি (!?) প্রতিষ্ঠা করে যাচ্ছে কুখ্যাত সন্ত্রাসী আমেরিকা।