বিয়ের প্রলোভন ও চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক নারীকে ‘ধর্ষণ’ এর অভিযোগে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত লাইসেন্সধারী সন্ত্রাসী (ওসি) মাহমুদুল হককে শুধুই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পেটুয়া বাহিনীর মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আজ সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে এ কথা জানায়।
ডিসি আনোয়ার প্রথম আলোকে বলে, ঘটনা সঠিক। তদন্তে ওসির বিরুদ্ধে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ওই নারীর বাড়ি নওগাঁ জেলায়। খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে ওই নারীকে ওসি মাহমুদুল হক ধর্ষণ করে। চেতনা ফিরলে ঘটনা বুঝতে পেরে মহিলাটি মাহমুদুল হককে প্রশ্ন করে। তখন ওসি ওই নারীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এর পর তাকে একাধিক বার ‘ধর্ষণ’ করে ওসি মাহমুদুল হক। এর ফলে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ওসি মাহমুদুল হক তাকে গর্ভপাতে বাধ্য করে। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে তাঁর সঙ্গে ওসি আর যোগাযোগ করেনি। এরপর অফিসে গেলে ওই নারীকে আবারও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয় ওসি।
একপর্যায়ে ধর্ষক সন্ত্রাসী ওসি মাহমুদুল হকের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই নারী। প্রথমে মেয়েটির প্রতি সহানুভূতি দেখায় ধর্ষকের বাবা। তবে পরবর্তীতে ওসির বাবাও নানাভাবে হুমকি দিতে শুরু করে। কোনো উপায় না দেখে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই নারী। এ সব ঘটনা জানিয়ে গত আগস্ট মাসে পুলিশ সদর দপ্তরে অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় মতিঝিল বিভাগের কথিত অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) মোনালিসা বেগমকে। এই তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় বলে জানায় পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ডিসি আনোয়ার হোসেন।
প্রচলিত কথিত আইনে ধর্ষকের অন্য শাস্তি থাকা সত্ত্বেও, ধর্ষক ওসিকে কেবলই বরখাস্ত করা হল। এমনকি কারাগারেও পাঠানো হলো না এই নরাধমকে। আইন কেবল সাধারণ মানুষের জন্য, অন্যেরা সব অস্পৃষ্য। এমন অন্যায় ও দ্বিমুখী আচরণ সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি করবে এমনই মনে করেন সাধারণ মানুষ।
এই পুলিশের রব হল হাসিনা, ওরা যা যা অন্যায় করবে তিনি মাফ করে দিলেই কেবল তারা জাহান্নামে পেীছাতে পারবে।