পবিত্র ভূমি মক্কা-মদিনাকে আজ অপবিত্র করে চলেছে সৌদ পরিবারের তাগুত শাসকগোষ্ঠী। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয় জন্মভূমিকে পরিণত করছে ক্রুসেডার কাফেরদের স্বর্গরাজ্যে! আর, যাঁরাই সৌদ পরিবারের এসকল অপকর্মের বিরোধিতা করছেন বা করেছেন, তাঁদেরকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বহু বছর ধরেই এরকম অপকর্ম করে আসছে সৌদির শাসকগোষ্ঠী। তাদের বিরোধিতা করতে গিয়ে তাই রোষানলের শিকার হয়ে কারাগারে বন্দী হয়েছেন উম্মাহর মাথার তাঁজ অনেক আলেমে দ্বীন। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে তাগুত মুহাম্মদ বিন সালমানের অপকর্মের বিরোধিতা করায় বন্দী উলামায়ে কেরামের সংখ্যা পূর্বের চেয়ে বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ঐসকল মহামনীষীদের মধ্য থেকে কয়েকজনের নাম ও তাঁদের গ্রেফতারীর সময়কাল নিচে উল্লেখ করা হলো-
– শায়খ ওয়ালিদ আল-সিনানী। তিনি সৌদির কারাগারে দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর যাবৎ বন্দী আছেন। শায়খকে সৌদির শাসক ১৯৯৪ সালে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে। সেই থেকে আজ অবধি তিনি কারাগারে বন্দী জীবন পার করছেন।
– শায়খ আলী আল-খুদাইর। তিনি দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ সৌদির শাসকগোষ্ঠীর রোষানলের শিকার হয়ে কারাগারে জীবন অতিবাহিত করছেন। তাঁকে বন্দী করা হয়েছিল ২০০৩ সালে।
– শায়খ নাসির আল-ফাহদ। সত্য প্রকাশে নির্ভীক এই আলেমকেও তাগুত সৌদি সরকার ২০০৩ সালে গ্রেফতার করে। সেই থেকে কারাগারে জীবন অতিবাহিত হচ্ছে শায়খের এবং ইতিমধ্যে ১৬টি বছর কাটিয়েছেন বন্দী অবস্থায়।
– শায়খ আহমদ আল-খালিদি। তাঁকেও ২০০৩ সালে গ্রেফতার করেছিল তাগুত সৌদি সরকার। সেই থেকে কারাগারেই জীবন কাটছে শায়খের এবং ইতিমধ্যে তিনিও ১৬টি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন।
– শায়খুল মুহাদ্দিস সুলাইমান আল-উলওয়ান। প্রখ্যাত এই আলেমে দ্বীনকে ২০০৪ সালে গ্রেফতার করে সৌদি সরকার। সেই থেকে ১৫টি বছর কারাগারের অন্ধকারে কেটেছে শায়খের। এখনো পর্যন্ত তিনি কারাগারে বন্দী।
– শায়খ খালেদ আর-রশিদ। তিনি ২০০৫ সাল থেকে সৌদি আরবের কারাগারে বন্দী। তাগুত গোষ্ঠী তাঁকে ১৪টি বছর ধরে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে।
– শায়খ সাউদ আল-হাশিমি। তিনি ২০০৭ সাল থেকে ১২টি বছর ধরে সৌদির কারাগারে বন্দী হয়ে আছেন।
– শায়খ মূসা আল-কারনি । তিনিও ২০০৭ সাল থেকে সৌদির কারাগারে বন্দী। ইতিমধ্যে ১২টি বছর কেটে গেছে কারাগারে।
– শায়খ সুলাইমান আল-রাশোদী। শায়খকে এ পর্যন্ত ৫ বার গ্রেফতার করা হয়েছে। শেষ ২০১২ সালে সৌদির তাগুত শাসকের রোষানলে পড়েন তিনি এবং সেই থেকে ৭টি বছর ধরে কারাগারে আছেন।
– শায়খ আব্দুল্লাহ আল-হামিদ। তাঁকে ৬বার গ্রেফতার করেছে তাগুত সৌদি সরকার। শেষবার ২০১৩ সালে তিনি তাগুত শাসকের হাতে গ্রেফতার হয়ে এখন পর্যন্ত কারাগারে জীবন কাটাচ্ছেন। সেই হিসেবে এখন পর্যন্ত ৬ বছর কারাগারে অতিবাহিত হয়েছে তাঁর।
– শায়খ ইব্রাহীম আল-সাকরান। তিনি ২০১৬ সালে তাগুত মুহাম্মাদ বিন সালমানের রোষানলে পড়ে গ্রেফতার হন। সেই থেকে ৩টি বছর কেটেছে কারাগারে এবং এখনো নির্জন কারাবাসে আছেন তিনি।
– শায়খুল মুহাদ্দিস আব্দুল আজীজ আত-তারিফী। প্রখ্যাত এই আলেমও ২০১৬ সাল থেকে সৌদির কারাগারে বন্দী আছেন। ইতিমধ্যে ৩টি বছর তাগুত সৌদি সরকারের কারাগারে অতিবাহিত করেছেন এই শায়খ।
এই হলো সৌদি আরবের কারাগারে বন্দী কয়েকজন প্রখ্যাত আলেমদের নাম। জেনে রাখা ভালো, সৌদির তাগুত শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়ে আরো বহু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম কারাগারে বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন। এ তালিকায় সর্বশেষ শায়খ আব্দুর রহমান বিন মাহমুদ ফাক্কাল্লাহু আসরাহ এর নাম যুক্ত হয়েছে। মূর্খদের সংঘটিত অপরাধের ব্যাপারে চুপ থাকার ভয়াবহতা নিয়ে তাঁর করা সাম্প্রতিক একটি লেকচারের কারণে তাঁকে গ্রেফতার করেছে সৌদির তাগুত সরকার।
আল্লাহ সারাবিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় জালিমের কারাগারে বন্দী হওয়া মুসলিমদের মুক্তিকে ত্বরান্বিত করুন, তাঁদেরকে ইসলামের পথে অটল রাখুন। আমীন।
আল্লাহ তায়ালা শাইখদের হেফাজত করুন।
এবং ঈমান ও সুস্থতার সাথে রাখুন।
আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন জালিমদের তাড়াতাড়ি ধ্বংস করে দিয়ে পরিপূর্ণ ইসলামিক কায়েম করে এবং আমাদেরকে বেশি বেশি চেষ্টা করার তৌফিক দান করেন এবং এই জেলখানায় যারা বন্দী আছে ধৈর্যধারণ করে থাকার তৌফিক দান করেন রব্বুল আলামিন তাদেরকে আল্লাহ মাফ করে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন