মালাউন যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য এখন ধর্ষণ রাজধানীতে পরিণত হয়েছে!

0
1255

ভারতের উত্তরপ্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মালাউন “যোগী আদিত্যনাথ”এর রাজ্য এখন ধর্ষণ ও রেপ রাজধানীতে পরিণত হয়েছে। এই রাজ্যের একটি শহরেই ঘটেছে ৮৬টি ধর্ষণ ও ১৮৫টি যৌন নির্যাতনের ঘটনা।

উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থেকে “উন্নাওয়ে” শহরের দূরত্ব ৬৫ কিলোমিটার আর কানপুর থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার।

মালাউন যোগী রাজ্যের সকল শহর বাদ থাক। এই মালাউন যোগীর রাজ্যের শুধু উন্নাওয়ে শহরেই এ বছরের ১১ মাসে ৮৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১৮৫টি। উন্নাওয়ে ধর্ষণের শিকার ২৩ বছরের তরুণীকে অভিযুক্তরা পুড়িয়ে মারার দিনেও সেখানে তিন বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়েছে।

গত কয়েক বছরে একের পর এক এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে মালাউন যোগীর পুরো উত্তর প্রদেশ জুড়েই। যার দৌলতে যোগী আদিত্যনাথের শাসনে রাজ্যের ধর্ষণ রাজধানী হয়ে উঠেছে এই জনপদ! রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মালাউন যোগী তা হলে কী করছে? কেন সে এর নৈতিক দায়িত্ব নিচ্ছে না? এই প্রশ্ন তুলেই আজ উত্তরপ্রদেশের এই মালাউন মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলল সাধারণ জনতা।

এই উন্নাওয়েই দু’বছর আগে বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সেঙ্গারের নামে ধর্ষিতার পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে সাক্ষী লোপাটের মামলাও ঝুলছে। এ বার সেই উন্নাওয়েই ধর্ষণের শিকার ২৩ বছরের এক তরুণীকে পুড়িয়ে মারার ঘটনাতেও উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী দল বিজেপি-ঘনিষ্ঠদের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

এক নজরে মালাউন “যোগী” সন্ত্রাসীর রাজ্য

• চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে ৮৬টি ধর্ষণের ঘটনা
• ওই সময়ে উন্নাও জেলায় ১৮৫টি যৌন হেনস্থার ঘটনা। ধর্ষণ ও হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে উন্নাওয়ের অসোহা, অজগেন, মাখি, বাঙ্গরমউয়ে
• অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত পরে জামিনে মুক্ত হয়ে যাচ্ছে।
• অভিযোগ, রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশ না-পেলে এক ইঞ্চিও নড়ে না পুলিশ
• এছাড়াও বিভিন্ন সময় মালাউনরা তাদের যুবকদেরকে গণমঞ্চ থেকেই ধর্ষণের জন্য উৎসাহিত করে আসছে। যার স্পষ্ট প্রমাণ আমরা বারবারই কাশ্মীরের ক্ষেত্রে দেখে আসছি। এই মালাউনরা কতটা নির্লজ্জভাবে সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদেরকে কাশ্মীরীদেরকে ধর্ষণ করতে বলেছে তা আমাদের কাররোই অজানা নয়।

এদিকে দেশপির কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী বাধ্য হয়ে বলে, ‘‘ভারত এখন বিশ্বের ধর্ষণ রাজধানী বলে পরিচিত। বিদেশি রাষ্ট্রগুলো প্রশ্ন তুলছে, কেন আমরা মেয়ে-বোনদের রক্ষা করতে পারি না। উত্তরপ্রদেশের একজন বিজেপি বিধায়ক ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত। তার পরেও প্রধানমন্ত্রী একটা কথা বলেন না!’’

মূলত হিন্দুত্ববাদী এই উগ্র সন্ত্রাসী রাষ্ট্রটির উচ্চপদ থেকে শুরু করে নিচু পর্যয়ের দায়িত্বশীলরাই ধর্ষণ ও রেপ করার ক্ষেত্রে যুবকদেরকে উৎসাহিত করছে।

উন্নাওয়ের এক তরুণী থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করলে তা পুলিশ প্রথমে এফআইআর নিতে চায়নি বলেও ইতিমধ্যেই শোনা গিয়েছে।

এমনিভাবে এক মহিলার অভিযোগ, কয়েক মাস আগে ঔষুধ কিনতে বেরিয়েছিলেন তিনি। গ্রামেরই পাঁচ হিন্দু যুবক তাঁর পোশাক ধরে টানতে শুরু করে। ধর্ষণেরও চেষ্টা করে তারা। অভিযুক্তদের মধ্যে রাম মিলন, গুড্ডু ও রাম বাবু নামে তিন যুবককে চিহ্নিতও করেছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু অভিযোগ নেওয়ার পরিবর্তে স্থানীয় বিহার থানার এক পুলিশকর্মীর বলে, ধর্ষণ হলে তার পরে থানায় আসুন। এরপর উন্নাও থানায় যান ওই মহিলা।সেখানে গেলে মালাউন পুলিশ বাহিনী হতে বলা হয়‘ধর্ষণ তো হয়নি। হলে দেখা যাবে,’ এই ভাষাতেই অভিযোগকারিণীকে ফিরিয়ে দেয় সন্ত্রাসী যোগী রাজ্যের পুলিশ।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধফিরে দেখা ১৯৮৭ সালের আজকের এই দিন!
পরবর্তী নিবন্ধরাজশাহী জেলায় সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের সম্মেলনে মাদক নিয়ে হাজির সন্ত্রাসী আ’লীগের সমর্থকের