কথিত নাগরিকত্ব বিল বিরোধী আন্দোলনে গুয়াহাটি-সহ রাজ্যের শহরে-গ্রামে চলল মিছিল, বিক্ষোভ, অবরোধ। নেসো, আসু, কেএমএসএস-সহ বিভিন্ন সংগঠনের ডাকা বন্ধে সমর্থন জানায় কংগ্রেস ও বামদলগুলিও। গুয়াহাটিতে একের পর এক আক্রমণ চলল মন্ত্রী-সাংসদদের বাড়িতে, কনভয়ে। বিভিন্ন স্থানে চলেছে মালাউন পুলিশের লাঠি, কাঁদানে গ্যাসও। জখম শতাধিক। ভাঙা হয়েছে গাড়ি, বাস।
প্রতিবাদকারীরা দিসপুরে বিধায়ক-আবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে আসামে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এ দিন, শিলঘাট, টংলা, ধেমাজিতে অবরোধে আটকে পড়ে বেশ কয়েকটি ট্রেন। জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়কগুলিতে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করা হয়। ১৪৪ ধারা অমান্য করে প্রতিবাদকারীরা রাস্তায় নামে। ভাঙা হয় বাস-গাড়ি। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও সিআরপির সঙ্গে অবরোধকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। দু’দিনের টানা বন্ধে কাজিরাঙায় বহু পর্যটক আটকে পড়েন। কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা অনশন শুরু করেছেন। ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে আলফার পতাকা ওড়ানো হয়েছে। নিউ গুয়াহাটি স্টেশনে আন্দোলনে যোগ দেন রেলকর্মীদের একাংশও।
আসাম আন্দোলনের শহিদের পরিবার আজ সরকারি শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান বয়কট করেছে। তার মধ্যেই গুয়াহাটির বরাগাঁওয়ে শহিদ স্মারক ক্ষেত্রের শিলান্যাস করে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ বলেন, ‘‘আমি কোনও ভুল করে থাকলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না। আমাদের সরকার অসমের ভূমিপুত্রদের কোনও ক্ষতি করবে না।’’
বরাকে অবশ্য বন্ধের বিশেষ প্রভাব পড়েনি। তবে বিল-বিরোধী কয়েকটি সংগঠন বরাকের তিন জেলাতেই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় পিকেটিঙে নামে। পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে চারশোরও বেশি পিকেটারকে গ্রেফতার করেছে। দু’-এক জায়গায় লাঠিচার্জও করতে হয়।
খুবই তথ্যবহুল একটি প্রবন্ধ, আল্লাহ তা‘আলা মুজাহিদীনকে সর্বাবস্থায় সাহায্য করুক, আমীন।