ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ফুঁসছে গোটা উত্তর-পূর্ব। তার মধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসল মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথা সন্ত্রাসী দল বিজেপির প্রবীণ সন্ত্রাসী তথাগত রায়।
এই আইনের বিরুদ্ধে যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, বিজেপি সরকার বিভেদের রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করছে যাঁরা, তাঁদের সকলের উত্তর কোরিয়া চলে যাওয়া উচিত বলে জানিয়ে দিল এই হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী।
গত বুধবার টুইটারে তথাগত লেখেছে, ‘‘এই মুহূর্তে দেশের যা পরিস্থিতি তাতে দুটো জিনিস ভুললে চলবে না। প্রথমত, ধর্মের নামেই দেশভাগ করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, গণতন্ত্র মানেই তো বিভাজনকারী। তা না চাইলে উত্তর কোরিয়া চলে যান।’’ ‘স্বৈরাচারী শাসক’ হিসাবে গোটা বিশ্বে পরিচিত উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। বিক্ষোভকারীদের কটাক্ষ করতেই সে এমন মন্তব্য করে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
Two things should never be lost sight of in the present atmosphere of controversy.
1. The country was once divided in the name of religion.
2. A democracy is NECESSARILY DIVISIVE. If you don’t want it go to North Korea.
তাঁর এই মন্তব্যের পরই শুক্রবার রাজভবনের মূল ফটকের বাইরে বিক্ষোভ দেখান একদল বিক্ষোভকারী। বাইরের কেউ রাজ্যে ঢুকতে গেলে, তাদের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করতে হবে বলে দাবি তোলেন তাঁরা। রাজভবনের ভিতরেও ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কেউ কেউ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। তাতে পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করে। দু’পক্ষের খণ্ডযুদ্ধে বেশ কয়েক জন আহত হন।
তবে এই প্রথম নয়, আলটপকা মন্তব্য করে এর আগেও একাধিক বার বিতর্ক বাধিয়েছে তথাগত রায়। গতবছর পুলওয়ামায় স্বাধীনতাকামীদের হামলার পর কাশ্মীরিদের বয়কটের ডাক দিয়েছিল এই সন্ত্রাসী তথাগত রায়। মুম্বইয়ে কর্মরত বাংলার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে এ বছরের গোড়াতেই কুরুচিকর মন্তব্য করে তথাগত রায়। সেই সময় সে বলেছে, ‘‘বংলার সেই গৌরব আর নেই। হরিয়ানা থেকে কেরল, সর্বত্র ঝাঁট দিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলার ছেলেরা। মেয়েরা মুম্বইয়ে বারে নর্তকীর কাজ করছে।’’