বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিল বাতিলে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ও আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির সঙ্গে সঙ্গে ভারতের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্দোলনে নেমেছে। আন্দোলনে নেমেছে সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ.-এর স্মৃতিবিজড়িত দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামাও।
তবে গত সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের মত বিক্ষোভে নামলে নদওয়ার দুই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হাসানগঞ্জ থানায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে ভারতীয় মালাউন প্রশাসনের চাপে আগামী ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ারা।
খবরে আরও বলা হয়, দিল্লির জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ৫৫০ জনের মতো গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এছাড়া লাখনৌ অঞ্চলের দীনি এ বিদ্যাপীঠে বিক্ষোভের জেরে আসাদুদ্দিন ওয়াইসির দল মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসী পুলিশ প্রশাসন। খবর আউটলুক ইন্ডিয়ার।
ভারতের জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের প্রধান মাওলানা আরশাদ মাদানী ছাত্রদের গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতি দেন, সেখানে তিনি ছাত্রদের উপর পুলিশি বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, পুলিশরা নিজেই গাড়িতে আগুণ দিয়ে শিক্ষার্থীদের নাম দিয়ে তাদের উপর বর্বরোচিত আক্রমণ চালিয়েছে। আমরা জমিয়তে হিন্দের পক্ষ থেকে ধিক্কার জানাই। অবিলম্বে এ হামলার পিছনে কাদের হাত ছিলো তদন্ত কমিটি গঠন করে হলেও এর সুষ্ঠু সমাধান চাই আমরা।
অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে মাওলানা আরশাদ মাদান বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই শিক্ষার্থীরা সু্শৃঙ্খলভাবে আন্দোলন করে আসছিলো, কারণ আন্দোলনের অধিকার প্রত্যেকটা নাগরিকেরই আছে, তখন কোনো শিক্ষার্থী পুলিশের উপর হামলা বা কোনো ধরণের দুর্ঘটনা ঘটল না, কিন্ত গতকাল কেনো তারা আইন ভঙ্গ করে গাড়িতে আগুন দিতে যাবে? অথবা পুলিশের উপর হামলা করতে যাবে?
উল্লেখ্য, গেলো বৃহস্পতিবার নতুন নাগরিকত্ব বিলে স্বাক্ষর করেন ভারতের মালাউন রাষ্ট্রপতি। একে সংখ্যালঘু এবং আদিবাসীবিরোধী আখ্যা দিয়ে চলছে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ। বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়।
রোববার দিল্লির জামিয়া এবং উত্তর প্রদেশের আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভ হয়েছে হায়দারাবাদের মৌলানা আজাদ, যাদবপুরসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে।