মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তাল ভারতের যেসব শহরে রাস্তায় নেমে এসেছে বিক্ষোভকারীরা সেখানেই হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিচ্ছে। আর এটাই আরেক অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে- কারণ এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে একটি দেশ এক বছরে সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার রেকর্ড গড়েছে।
ভারতে উত্তেজনার মধ্যে গত ১২ ডিসেম্বর একটি টুইট করে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে লিখেছে, ‘আমি আসামে আমার ভাই বোনদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, নাগরিকত্ব সংশোধন বিল নিয়ে তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
আমি তাদের নিশ্চিত করতে চাই যে কেউ তাদের অধিকার, আত্মপরিচয় এবং দারুণ সংস্কৃতি কেড়ে নিতে পারবে না। এর বিকাশ অব্যাহত থাকবে। ’ কিন্তু সমস্যা হলো এই টুইট দেখার জন্য যে ইন্টারনেট প্রয়োজন ছিল সেটি ছিল না।
তাই হাজার হাজার বিক্ষোভের মধ্যে এটি ঠিক নিশ্চিত না যে কতজন এই টুইট দেখতে পেরেছে। ইন্টারনেট শাটডাউন ট্র্যাকারের হিসেবে চলতি বছর দেশটিতে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়েছে মোট ৯৩ বার। হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির দোহাই দিয়ে সেবা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া। তবে নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে তুমুল বিক্ষোভের কারণে শুধু আসামেই নয়, ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরাঞ্চলীয় শহর আলীগড়ের মতো বেশ কিছু এলাকাতেও।
এ ধরনের দীর্ঘমেয়াদি ইন্টারনেট বন্ধের নজির আছে কেবল চীন আর মিয়ানমারে। তবে ভারত এবারেই যে সবচেয়ে বেশিবার বন্ধ করল তাও নয়। ২০১৮ সালে মোট প্রায় ১৩৪ বার ইন্টারনেট বন্ধের উদাহরণ আছে।
সুত্রঃ বিবিসি বাংলা