বহিঃশুল্ক ও ট্রানজিট ফি ছাড়াই জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর দিয়ে পণ্য আনা-নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে নয়া দিল্লি।
গত সপ্তাহে ঢাকায় জাহাজ চলাচলবিষয়ক সচিবপর্যায়ের সভায় বাংলাদেশের জাহাজ চলাচলবিষয়ক সচিব মো. আবদুল সামাদ ও তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ গোপাল কৃষ্ণের মধ্যে এই সমঝোতা হয়। একে দুই দেশের মধ্যকার কানেকটিভিটিতে নতুন অধ্যায় বিবেচনা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় স্থলপরিবেষ্টিত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য আনা-নেয়ার জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর সম্পন্ন হয়। এই পদক্ষেপের ফলে ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি বাস্তবায়নে অগ্রগতি হলো।
আবদুস সামাদ বলেছে, আমরা এখনো প্রথম পরীক্ষামূলক পরিচালনার তারিখ নির্ধারণ করিনি। তবে তা আগামী বছরের জানুয়ারিতে হতে পারে। চট্টগ্রাম বা মোংলা বন্দর থেকে একটি কন্টেইনার কার্গো আগরতলা ও আখাউড়া নৌরুট দিয়ে ভারতীয় রাজ্য ত্রিপুরা যাবে।
দুই দেশের মধ্যকার চুক্তির অনুযায়ী বহিঃশুল্ক প্রযোজ্য হবে না।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ও দুটি বন্দরের মধ্যে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের জন্য সাতটি রুট চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম বা মোংলা বন্দর থেকে আখাউড়া হয়ে আগরতলা, চট্টগ্রাম বা মোংলা বন্দর থেকে তামাবিল হয়ে ডাউকি; চট্টগ্রাম বা মোংলা বন্দর থেকে শেউলা হয়ে সুতারকান্ডি, চট্টগ্রাম বা মোংলা বন্দর থেকে সিমান্তপুর হয়ে বিবেকবাজার।
এদিকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নৌপথে যাতায়াতকারী যাত্রীরা বন্দরে অন অ্যারাইভাল ভিসা পাবেন। উল্লেখ্য, গত মার্চে নারায়ণগঞ্জ থেকে কোলকাতাগামী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।