একদিকে গোটা ভারতজুড়ে সিএএ–এনআরসি বিরোধিতা চরমে উঠেছে। অন্যদিকে, জাতীয় অর্থনীতি প্রায় আইসিইউ–তে চলে গিয়েছে। পরপর বন্ধ হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানি। বিক্রি হতে বসেছে সরকারি সংস্থাও। কর্মসংস্থানের অভাবে ধুঁকছে সারা দেশ। পেঁয়াজ, আলু, রান্নার গ্যাসের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম প্রায় রকেটের গতিতে উপরে উঠছে। তার মধ্যেই মালাউন সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে মঙ্গলবার হওয়া বৈঠকে জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার বা এনপিআর পুনর্নবীকরণের অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এজন্য খরচ হবে ৮৫০০ কোটি টাকা, জানিয়েছে কেন্দ্র। যেহেতু এনপিআর সেনসাসের অন্তর্ভুক্ত, সেহেতু এনপিআর আসলে এনআরসি লাগুর প্রথম পদক্ষেপ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। একইসঙ্গে বেহাল অর্থনৈতিক দশার মধ্যে এত অর্থ ব্যয়ে এই কাজের জন্য কেন্দ্রকে সমালোচনাও করছেন অর্থনীতিবিদরা।
সেনসাস কমিশনের ব্যাখ্যা, এনপিআর–এর আসল উদ্দেশ্য, দেশের প্রত্যেক ‘ইউজুয়াল রেসিডেন্ট’ বা সেই সব নাগরিক, যাঁরা ৬ মাস বা তার বেশি কোনও একটি জায়গায় বসবাস করেছেন বা করবেন, তাঁদের পূর্ণাঙ্গ পরিচয়ের তথ্যভান্ডার তৈরি করা। এই তথ্যভান্ডার প্রত্যেকের বিস্তারিত বায়োমেট্রিক এবং ডেমোগ্র্যাফিক তথ্য নিয়েই তৈরি হবে। প্রত্যেক ‘ইউজুয়াল রেসিডেন্ট’–রই এনপিআর–এ নথিভুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১০–এ ইউপিএ–র আমলে প্রথমবার এনপিআর হয়েছিল। মন্ত্রিসভা সূত্রে খবর, এবারের এনপিআর অনেক বিস্তারিতভাবে হবে।
সূত্র: আজকাল
নিশ্চয়ই তাদের পাতা নাপাক ফাঁদ, তাদেরকেই ধ্বংস করবে। আর মুসলিমদের আল্লাহ তায়ালা হেফাজত করবেন ইনশাআল্লাহ।