শাহানা আর সোহানা দুইবোন (ছদ্মনাম)। দু’জনই বিবাহিতা। বড়বোন শাহানা দুই এবং ছোট বোন সোহানা এক সন্তানের জননী। কিন্তু আওয়ামী দালাল পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে ভেঙে গেছে ওই দুই বোনের সংসার।
চাঞ্চল্যকার এ ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের কালীগঞ্জের ফুলদি গ্রামে।
অভিযুক্ত ওই এসাআইয়ের নাম মাইন উদ্দিন ওরফে মাইনুল। তিনি বিবাহিত এবং গত শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কালীগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিলেন। ৬ মাস আগে তাঁর বদলির আদেশ হলেও নতুন কর্মস্থলে যাননি। অভিযোগের বিষয়টি জানাজানির পর তিনি গত শুক্রবার তড়িঘড়ি কাপাসিয়া থানায় যোগদান করেছেন।
আল আমিন জানান, তিনি টাইলস্ মিস্ত্রির কাজ করেন। ১২ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন শাহানাকে (ছদ্মনাম)। সংসারে তার ১১ বছরের একটি ছেলে ও ৩ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। ওই এসআই তার সুখের সংসার ভেঙে তছনছ করে দিয়েছেন। শ্বশুরবাড়ি এলাকায় গিয়ে তাঁর শ্যালিকার সঙ্গে পরিচয় এবং মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান হয় এসআইয়ের। পরে তাদের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে ওই এসআইর বিয়ের প্রলোভনে শ্যালিকা স্বামীকে ডিভোর্স দেয়। কয়েকদিন পর এসআই তাঁর শ্যালিকার সাথে দেখা করতে শ্বশুরবাড়ি যায়। শালিকা বাড়িতে না থাকায় পরিচয় হয় আল-আমিনের স্ত্রীর সাথে।
আল-আমিন অভিযোগ করে বলেন, এসআইয়ের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেও কাজ হয়নি। উল্টো মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এপথ থেকে ফিরে আসার চাপ দেয়ায় একমাস আগে সন্তান রেখে স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে গেছে।
এ ঘটনায় তিনি কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ (নং ৫২৯) ডায়েরি করেছেন। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে একাধিকবার ফোনে এবং দেখা করে কথা বলেও কোনো কাজ হয়নি। উপায়ন্তর না দেখে তিনি ১৯ ডিসেম্বর বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
সুত্রঃ কালের কন্ঠ