সন্ত্রাসী দল বিজেপি–শাসিত কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি। শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। ১ জানুয়ারি থেকে চালু হয়ে যাবে ডিটেনশন ক্যাম্প। অথচ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিৎকার করে বলছে, দেশের কোথাও ডিটেনশন ক্যাম্প নেই। সবই মিথ্যে রটনা।
বেঙ্গালুরু থেকে ৩০ কিমি দূরে সোন্দেকোপ্পা গ্রামে তৈরি হয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্প। উঁচু পাঁচিলে ঘেরা। পাঁচিলের ওপর কাঁটাতারের বেড়া। ক্যাম্পের দুই প্রান্তে রয়েছে দুটি সুরক্ষা টাওয়ার। ইংরেজি অক্ষর এল আকৃতির ডিটেনশন ক্যাম্পের ভেতর রয়েছে ১৫ শয্যার সাতটি ঘর, একটি রান্নাঘর ও একাধিক শৌচালয়। এসব তৈরি। এখন স্টাফ কোয়ার্টারের কাজ চলছে। ডিটেনশন ক্যাম্পে ঢোকার মুখেই রয়েছে পুলিশি পাহারা। ভেতরের কাজকর্ম কেমন চলছে, ঘুরে দেখছেন কর্ণাটক সমাজকল্যাণ দপ্তরের কর্মীরা। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা।
ডিটেনশন ক্যাম্প হওয়ার আগে এটা একটা ছাত্রাবাস ছিল। অনগ্রসর শ্রেণির পড়ুয়ারা থাকত এখানে। ছাত্রাবাস পরিচালনা করত রাজ্য সরকারের সমাজকল্যাণ দপ্তর। ছাত্রাবাসকে ডিটেনশন ক্যাম্প করার তোড়জোড় শুরু হয় মাসখানেক আগে।
২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ১৫ জন অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী গ্রেপ্তার হয় কর্ণাটকে। কর্ণাটক হাইকোর্ট তাদের রাখার বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকারকে। তারপর ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশের পর কর্ণাটক সরকার ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির তোড়জোড় শুরু করে। গতমাসে রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বেঙ্গালুরু পুলিশকে ছাত্রাবাসটি নিজেদের তত্ত্বাবধানে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। চলতি মাসের ৯ তারিখে রাজ্য সরকার জানায়, ২০২০ সাল থেকেই ডিটেনশন ক্যাম্পটি পুরোদস্তুর চালু হয়ে যাবে।
সমাজকল্যাণ দপ্তরের এক কর্মী বলেন, ‘১ জানুয়ারি থেকেই ডিটেনশন ক্যাম্প চালু হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে, স্টাফ কোয়ার্টারের কাজ শেষ করতে হবে। রান্নাঘর ও অন্য ঘরগুলি তৈরি, বিদ্যুৎ–জল সব রয়েছে। বিভিন্ন কাজের কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।’