ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ কার্যালয়ে ঢুকে ডাকসু ভিপিসহ অন্যদের ওপর সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরকার সমর্থিত ছাত্রসংগঠন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ এবং মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের সংগঠনের কর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
উদ্বেগের বিষয় হল, এবারই প্রথম নয়, এর আগেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকসু ভিপি নূরুল হক নূরসহ তাদের সহপাঠীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিজেদেরই সহপাঠীদের হাতে তাদের নির্বাচিত ভিপির ওপর বারবার বর্বর হামলা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
বারবার হামলা হওয়ার পরও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার কারণেই যে এমনটি ঘটছে, তা বলাই বাহুল্য। এটি কোনোভাবেই সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ইঙ্গিতবাহী নয়।
তবে আগের হামলাগুলোর চেয়ে এবারের হামলাটি বেশি সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ এবার খোদ ডাকসু কার্যালয়ের ভেতরে বাতি নিভিয়ে অন্ধকারে হামলা করা হয়েছে ভিপি ও তার সঙ্গীদের ওপর। হামলা এতটাই নৃশংস ছিল যে একজনকে লাইফ সাপোর্টে পর্যন্ত রাখতে হয়েছে।
যদি এ হামলায় কারও মৃত্যুর ঘটনা ঘটত তাহলে পরিস্থিতি কী হতো ভাবা যায়! খোদ ডাকসু সভাপতি ও ভিসি বলেছেন, হামলাকারীরা একটি লাশ চাচ্ছিল। হামলার পরপর সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করে ফেলা থেকে এর সত্যতা প্রতীয়মান হয়।
এ দেশে লাশের রাজনীতি পুরনো হলেও সাম্প্রতিককালে এ হামলা যেন সেটিই মনে করিয়ে দিচ্ছে। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং দেশজুড়ে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর লেখাপড়া ও অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনা দরকার অবিলম্বে।
সুত্রঃ যুগান্তর