উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারতের সংশোধিত নাগরিক আইনের প্রতিবাদে উত্তাল পুরো ভারত, প্রতিবাদ করা থেকে বাদ পড়েনি মুসলীম বিদ্বেষী মালাউন যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশও।
মালাউন মোদি ও শাহের নেতৃত্বাধীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকার লোকসভা ও রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (২০১৯) পাশ করানোর সময় থেকেই উত্তপ্ত হতে শুরু করে পুরো ভারতসহ সন্ত্রাসী যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশও। দেশটির আরেক মালাউন রাষ্ট্রপতি ওই বিলে স্বাক্ষর করার পর থেকেই সন্ত্রাসী বিজেপি শাসিত এই রাজ্যের গোটা ছবিটাই পাল্টে যায়। জেলায়, জেলায় বিক্ষোভ, আন্দোলন কার্যত সংঘর্ষের আকার নেয়। ফিরোজাবাদ, মিরুত, কানপুর, সম্ভল, বীজনৌর, মুজাফ্ফরনগর, রামপুর, লখনউ সব জায়গাই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালাতেও সংকুচিত হয়নি মালাউন পুলিশ বাহিনী।
আর যার ফলস্বরূপ শুধু সন্ত্রাসী ও উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতা “যোগী”র রাজ্য উত্তরপ্রদেশেই মালাউন পুলিশ বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারায় অন্তত ১৯ জন। মৃতদের মধ্যে একটি ৮ বছরের শিশুও রয়েছে। ঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও অনেকই, যারা আহত অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর প্রহর গুণছেন।
প্রসঙ্গত, নাগরিক আইনের প্রতিবাদ করায় সাড়ে পাঁচ হাজার (৫৫৫৮) এর ওপরে বিক্ষোভকারিদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ABP সহ ভারতীয় সংবাদসংস্থাগুলো।
এছাড়াও ১ হাজার ১১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
যোগী রাজ্যের সর্বশেষ খবর হচ্ছে, বর্তমানে এই মালাউন সন্ত্রাসী রাজ্যের ২১টি জেলাতেই ইন্টারনেট সংযোগ বন্দ করে দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চালানো হতে পারে উক্ত জেলাগুলোতে আন্দোলনকারীদের উপর গণগ্রেফতার ও হত্যা!