আল-কায়েদা পূর্ব আফ্রিকান ভিত্তিক অন্যতম সোমালিয়ান শাখা “হারাকাতুশ শাবাব” মুজাহিদিন গত দুই দিন (২৫-২৬ই ডিসেম্বর) সোমালিয়ার বিভিন্ন স্থানে কুফ্ফার আফ্রিকান জোট ও সোমালিয় মুরতাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বমোট ১১টি সফল অভিযান পরিচালানা করেছেন।
যার মধ্যহতে গত ২৫ই ডিসেম্বর জুবা প্রদেশের কাসমায়ো শহরে মুজাহিদদের পরিচালিত একটি হামলায় ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনীর প্রশিক্ষিত ৫ সোমালিয় মুরতাদ সেনা নিহত এবং আরো ৪ সেনা আহত হয়।
একই শহরে ঐদিন মুজাহিদদের অন্য আরেকটি হামলার শিকার হয় সোমালিয় বিশেষ বাহিনীর (বানক্রুফ্ট) একটি ইউনিট। যার ফলে অনেক সেনা হাতাহতের শিকার হয়।
অন্যদিকে সোমালিয়া ও কেনিয়ার সীমান্তবর্তী “কালবায়ু” শহরে ক্রুসেডার কেনিয়ান সন্ত্রাসী সামরিক বাহিনীর একটি ঘাঁটিতেও ঐদিন সফল হামলা চালান মুজাহিদিন। যার ফলে কুফ্ফার বাহিনীর সামরিক ঘাঁটিটি পরিপূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। আর কুফ্ফার বাহিনীর সদস্যরা ঘাঁটি ছেড়ে পালায়েন করে।
এরপর ২৬ই ডিসেম্বরেও মুজাহিদগণ তাদের অভিযানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখেন।
যেমন “কুরীউলী” শহরে ক্রুসেডার উগান্ডার সন্ত্রাসী বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে তাদের অনেক সৈন্যকে হত্যা ও আহত করেন মুজাহিদগণ।
এমনিভাবে বুন্টুল্যান্ড প্রশাসনের “উসমান আহমদ আসকার” নামক বার্তাবাহককেও হত্যা করেন মুজাহিদীন। যে বাসুসা শহরে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে জাসুস (গোয়েন্দা) হিসাবে কাজ করত, এবং মুজাহিদদের সংবাদ মুরতাদ বাহিনীর নিকট পৌঁছিয়ে দিত।
একইদিনে রাজধানী মোগাদিশুর “আরবায়ু” এলাকায় মুজাহিদগন অন্য একটি হামলা চালিয়ে ক্রুসেডার আফ্রিকান জোট বাহিনীর সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করে দেন। যার ফল। কুফ্ফার বাহিনী অনেক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়।
এছাড়াও সোমালিয়ার আফজওয়ী, দানু ও আউদাকলী শহরেও মুরতাদ বাহিনীর বিরুদ্ধ বেশ কিছু সফল অভিযান চালান হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন। যার প্রতিটি হামলাতেই মুরতাদ বাহিনীর জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।