কথিত মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আঁচ পড়েছে সন্ত্রাসী যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশে। লাগাতার বিক্ষোভে এখনও ত্রস্ত কানপুর, লখনউ, মেরঠের মতো শহরগুলো। ইতিমধ্যে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ২১ জন বিক্ষোভকারী। অথচ, পুলিশের দাবি ছিল বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে পুলিশ গুলি চালায়নি, বরং ৩০০ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৭ জন গুলিতে আহত হয়েছে। কিন্তু আদতে গুলিতে আহত কেবলমাত্র একজন পুলিশরেই খোঁজ মিলল।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আজকাল সূত্রে জানা গেছে, একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছিল। সেখানেই তাঁরা খোঁজ পান মুজফফরনগরের এসপি সতপাল অন্তিলের। যাঁর পায়ে গুলি লেগেছে। সে এখনও আহত জায়গায় ব্যান্ডেজ পরে রয়েছে। এই প্রসঙ্গে সে বলেছে, ‘গত ২০ ডিসেম্বর নিজের টিমের সঙ্গে মিনাক্ষী চকে ছিলাম। তখনই আমার গুলি লাগে। গুলি কোন পক্ষের লেগেছে তার কিছুই বুঝতে পারিনি, শুধু দেখেছি অনেক রক্ত বেরোচ্ছিল।’ শুধু এ ঘটনায় ২০০ জন বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে, অন্যান্য এলাকার পুলিশ শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও গুলিতে আহত পুলিশকর্মীর কোন তথ্য জানা যায় নি।