কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না পিয়াজের বাজার। কাজে আসেনি কোনো পদক্ষেপ। অস্থিরতা চলছেই। ফের পিয়াজের দাম ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছে সিরাজগঞ্জের বাজারগুলোতে।
মাত্র দুদিনের ব্যবধানে দেড়গুণ বেড়ে পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। এতে আবারও বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।
জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ স্টেশন বাজার, বানিয়াপট্টি বাজার ও এসএস রোড এলাকায় বড় বাজার ঘুরে দেখা যায় দেশি পিয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।
অপরদিকে আমদানি করা মিশরীয় পিয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১শ টাকায়। কয়েকজন ব্যবসায়ীর কথায়, আড়তে দাম বাড়লে আমাদের কিছু করার থাকে না। শনিবার সকালে আড়তে ভাল দেশি পিয়াজ ১৭০-১৯০ টাকায় কেনা হয়েছে। এ কারণে খুচরা বাজারে ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এলসির মাধ্যমে আসা বিদেশি পিয়াজ আড়ত থেকে ৭৫ টাকায় কিনে খুচরা বাজারে ১শ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
কাঁচাবাজার আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মসলিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, সিরাজগঞ্জের হাট-বাজারে পিয়াজের দাম আবারও বেড়েছে। বেশি দামের কারণে পাইকাররাও পিয়াজ কিনতে সাহস পাচ্ছেন না। ফলে খুচরা বাজারে প্রভাব পড়ছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে এক লাফে ডাবল সেঞ্চুরিতে ওঠে পিয়াজের দাম। সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অস্থির হয়ে উঠে পিয়াজের বাজার। ২৯ সেপ্টেম্বর পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত। বাংলাদেশ আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের ওপরই নির্ভরশীল। ফলে দেশের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়তে থাকে। পরে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে সারাদেশে পিয়াজের কেজি ২০০ টাকা হয়।
সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন