মেয়র প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছুটছেন ভোটারদের ঘরে ঘরে। ঢাকা সিটিকে নতুন করে গড়ে তোলার নানান প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। স¤প্রীতির রাজনীতি, পরিবর্তনের রাজনীতির প্রতিশ্রুতি ছাড়াও ঐতিহ্যের ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সচল ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা এবং সর্বোপরি উন্নত ঢাকা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
পৌষের শেষ সাপ্তাহে হাড় কাঁপানো শীতে সূর্যের দেখা নেই। প্রচন্ড ঠান্ডায় হীম হওয়া আবহাওয়ায় জমে উঠেছে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা। ভোর হতেই মাঠে নামছেন মেয়র ও কমিশনার প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর নানা প্রতিশ্রুতির বয়ান দিয়ে ভোট চাইছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ইসলামী ধারা ও বাম ধারার দলগুলোর প্রার্থীরাও সীমিত পরিসরে প্রচারণায় নেমেছেন। জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে প্রচারণার অন্যরকম দৃশ্য।
মেয়র প্রার্থী তাপস বলেন, নির্বাচিত হলে শহরে মাদকসহ অন্যান্য অপরাধমূলক সামাজিক ব্যাধিগুলো দূর করা হবে। এলাকাভিত্তিক সমস্যা সমাধান করা হবে। রাস্তা-ঘাট পুনর্বিন্যাস করে জনগণের ভোগান্তি কমানো হবে।
নতুন ওয়ার্ডে উন্নয়নের ব্যাপক প্রতিশ্রুতি আতিকের:
ঢাকা উত্তর সিটির সাথে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলোতে ব্যাপক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ ভোটারদের কাছে ভোট চাইছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল
গণসংযোগকালে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডবাসীর উদ্দেশ্যে মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন নতুন ওয়ার্ডগুলো উন্নয়নের মাধ্যমে ভালোভাবে সাজানোর জন্য। আমরা বলতে চাই, নৌকা উন্নয়ের মার্কা, এ নৌকায় ভোট দেয়ার মাধ্যমে আমাকে যদি নির্বাচিত করেন তাহলে প্রথমেই এসব এলাকায় যেন জলাবদ্ধতা না হয়, রাস্তা উন্নয়ন হয় আর এলইডি বাতিতে যেন আলোকিত হয় সেই কাজ করব। এছাড়া নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নের জন্য অনেক বড় বড় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
মাজাররোডে গণসংযোগকালে মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, আমরা ইতোমধ্যে নাগরিক সমস্যার ১২টা জায়গা চিহ্নিত করেছি। দায়িত্ব পেলে এই ১২টা জায়গায় আমরা সমন্বয় ও গুরুত্বের ভিত্তিতে একযোগে কাজ শুরু করবো। ডেঙ্গু, পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও যানজটের মতো বাসা ভাড়াও ঢাকার বাসিন্দাদের জন্য একটি বড় সমস্যা। এই লড়াইয়ে জয়ী হতে পারলে ঢাকার নাগরিক সমস্যার সমাধানে কাজ করা সহজ হবে। তিনি বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি স্তর ‘দুর্নীতিতে ভরে গেছে’। মেয়র নির্বাচিত হলে তিনি সবার আগে এই দুর্নীতি দমনে কাজ করতে চান বলে জানান। তাবিথ বলেন, পুলিশের মামলা হবে, হামলা হবে আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের পক্ষ থেকে। আমরা শত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করেও নির্বাচনী মাঠে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মেয়র প্রার্থী বলেন, মিরপুর এলাকার রাস্তা-ঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। পুরো শহরে বায়ু দূষণে ঢেকে গেছে। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখার কারণে এডিস মশার জন্ম হচ্ছে। ফলে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে, অনেক প্রাণহানীও হয়েছে। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আগামী দিনে জনকল্যাণ ও জনগণের মেয়র হিসেবে কাজ করতে চেষ্টা করবো। আমি নগরবাসীর সব সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবো।
সূত্র: ইনকিলাব