জম্মু-কাশ্মীরে কিছু অংশে চালু হলেও বেশিরভাগ অংশেই বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট সেবা।
সরকার ইন্টারনেটের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পরও এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, জম্মু অঞ্চলের হিন্দু-অধ্যুষিত কিছু জেলায় ২জি ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে।
এছাড়া কিছু ব্রডব্যান্ড সুবিধাও পাচ্ছে তারা। তবে কাশ্মীর উপত্যকার মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় এমন কোনো সেবাই পাওয়া যাচ্ছে না।
গত বছরের ৪ আগস্ট থেকে জম্মু-কাশ্মীরে স্বাভাবিক ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে।
এ সম্পর্কে ভারতের দাবি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইন্টারনেট চালু রাখলে গুজব ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এমনকি হামলা চালানোর জন্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংঘবদ্ধ হতে পারে স্বাধীনতাকামীরা।
তবে সমালোচকরা ভারতের এই সিদ্ধান্তকে ভালো চোখে দেখছেন না। তারা বলছেন, এটা চরম দমনরীতি।
এমনকি জম্মু-কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার বিষয়টিকে ‘কোনো গণতান্ত্রিক দেশে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী নজির’ হিসেবেও উল্লেখ করেন তারা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় কট্টর হিন্দুত্ববাধী সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদী সরকার।
তখন জম্মু-কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়। এরপরই সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়, যা এখনো চলছে।