ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সন্ত্রাসী যোগি আদিত্যনাথ এবার মুসলমানদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছে। যোগি আদিত্যনাথ বলেছে, ভারতে স্বাধীনতার পর সাত-আটগুণ বেড়েছে মুসলমানদের সংখ্যা। আর সেটা হয়েছে, তারা বিশেষ সুযোগ-সুবিধা এবং অধিকার পাচ্ছে বলেই।
সে আরো বলেছে, এজন্য ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণয়ন করার জন্য হিন্দুত্বববাদী সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ না করে, উল্টো তাদের প্রশংসা করা উচিত।
পাকিস্তানকে আক্রমণ করে যোগি বলেছে, এদেশে মুসলিমরা সংখ্যায় বাড়লেও, পাকিস্তানে হিন্দুরা কোথায়? মুসলিমরা ভারতের উন্নয়নে অংশ নিচ্ছে, ভালো কথা। তাদের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার দিচ্ছে সরকার। কিন্তু পাকিস্তানে কী হচ্ছে? সেখানে হিন্দু কোথায়?
সে মনে করে, ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ চলছে, তা একপ্রকার ষড়যন্ত্র। বিরোধীরা বাইরে থেকে এই ষড়যন্ত্রে ইন্ধন দিচ্ছে। বিক্ষোভকে ভয়াবহ করতে রীতি মতো আগুন জ্বালাচ্ছে।
যোগি বলেছে, ভারতের জনগণকে একটা বিষয় বুঝতে হবে, এই বিক্ষোভ আসলে ভুল বোঝানোর একটা পদ্ধতি মাত্র। আর নরেন্দ্র মোদি যে ধর্মের ভিত্তিতে জনগণের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে তা ভুল। প্রচুর মানুষ উজ্জ্বলা গ্যাস যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে। তাদের নাম যখন সরকারি প্রতিনিধিরা নথিভুক্ত করে, তখন কি ধর্মের ভিত্তিতে করা হয়? প্রতিবেশী দেশের এখন আশঙ্কা, জওহরলাল নেহরুর ভুল সিদ্ধান্তে তৈরি ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত হওয়ায় পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর বোধহয় হারাতে হবে।
সূত্রঃ কালের কন্ঠ