বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে বাংলাদেশি জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশ করার অপরাধে বাংলাদেশি ছয় জেলের স্থান হয়েছে ভারতীয় কারগারে। গত ৫ জানুয়ারি থেকে দীর্ঘ ১২ দিন অতিবাহিত হলেও ফিরে আসার কোনো লক্ষণ নেই তাদের।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ট্রলার মালিক তৌহিদুল ইসলামের বরাত দিয়ে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কারাগারে আটক জেলেরা হলো, পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী গ্রামের মৃত আমির হোসেন জোমাদ্দারের ছেলে মো. বেল্লাল মাঝি, দক্ষিণ জ্ঞানপাড়া গ্রামের সুলতান চৌকিদারের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, তালুক চরদুয়ানী গ্রামের আ. রব জোমাদ্দারের ছেলে মো. এমাদুল হক, মৃত হাফেজ জোমাদ্দারের ছেলে মো. শাহিন, আতাহার আলীর ছেলে আবদুল হক ও পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী এলাকার বাহাদুর চাপরাশির ছেলে মো. ইমরান চাপরাশি।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, গত ৫ জানুয়ারি রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গভীর সমুদ্রে ভান্ডারিয়া উপজেলার দারুলহুদা গ্রামের তৌহিদুল ইসলামের মালিকানা এফবি মারিয়া নামক ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। বিকল হওয়ার পর ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশি জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশ করলে ওই দেশের বনবিভাগ তাদেরকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। আটকের পর ভারতীয় অজ্ঞাত নামা এক ব্যক্তির মোবাইলের মাধ্যমে জানার পরে ৬ জেলের নাম উল্লেখ করে পাথরঘাটা থানায় একটি সাধারণ করেন ট্রলার মালিক তৌহিদুল ইসলাম। পাথরঘাটা থানা জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ট্রলার মালিক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ২৫ ডিসেম্বর পাথরঘাটারয় দেশের বৃহত্তম বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে মাছ শিকার করার উদ্দেশ্যে বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রে যাত্রা শুরু করে। কয়েক ঘণ্টা চালানোর পর ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়লে স্রোতে ভারতীয় জলসীমা অতিক্রম করে। এক পর্যায় ভারতীয় জলসীমায় গেরাফী দিয়ে ৬ জেলে নিয়ে অবস্থান করছিল ট্রলারটি। ভারতীয় বনবিভাগের সদস্যরা অনুপ্রবেশের অপরাধে ট্রলারসহ ছয় জেলেকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাড়ইপুর কারগারে পাঠায়।
তৌহিদুল আরো বলেন, ৬ জেলে কলকাতার বাড়ইপুর কারাগারে রয়েছে। ১০ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি আমাকে জানিয়েছেন।