‘গনিমত’ আর ‘শত্রু সম্পত্তি’ : ‘প্রথম আলো’র ঘা যেখানে

0
1024

ভারতে মুসলিমদের সম্পত্তিকে ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করে বিভিন্ন জমি-বাড়ির প্রথম দফার নিলামের প্রস্তুতি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় মালাউন সরকার। প্রথম আলোর মত দাজ্জালী মিডিয়াগুলোর অবশ্য এ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই। তাদের মাথা ব্যাথা হল, “এত খয়খরচার অর্থ কোথায় পায় তালেবান?”

আমেরিকাকে মেরে আফগানিস্তান থেকে তাড়ানোর ব্যবস্থা করছে তালেবান। আল্লাহর সাহায্যে তালেবান মুজাহিদীন প্রতিনিয়তই আমেরিকা ও তার গোলাম বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছেন, বিজয় অর্জন করছেন। হামলা চালানোর জন্য তো অর্থের প্রয়োজন, সেই অর্থ কোথায় পায় তালেবান? এই রকম একটি প্রশ্ন তুলে তালেবানদের অর্থের উৎস নিয়ে বিবিসি, প্রথম আলোর মতো কথিত প্রগতিবাদিরা চালিয়েছে নানা মিথ্যাচার।

প্রায় এক বছর আগে প্রথম আলো “এত বোমার খয়খরচা কই পায় তালেবান? ” শিরোনামে মুজাহিদীনের একটি আর্থিক খাত তুলে ধরেছে এভাবে, “হামলা-দখলও তালেবানের আয়ের একটি মাধ্যম। কোথাও হামলা চালালে কোষাগারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র তারা লুটে নেয়।” আল্লাহর সৈনিকগণ দেশ ও ইসলামের চির শত্রুদের উপর হামলা চালিয়ে বিজয় অর্জনের পর যে মাল-সম্পদ পায়, শরীয়তের ভাষায় তাকে গনিমতের মাল বলে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মালকে সবচেয়ে উত্তম রিযিক বলেছেন। আর তালেবান মুজাহিদীনের অর্জিত এই মাল-সম্পত্তি তথা গনিমতকেই ইহুদীবাদের দালাল বিবিসির অনুগামী প্রথম আলোর মতো দাজ্জালী মিডিয়াগুলো ‘লুটের মাল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

অথচ, এখন ভারতের হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার ‘শত্রু সম্পত্তি’ আখ্যায়িত করে ভারত ছাড়তে বাধ্য হওয়া মুসলিমদের সম্পত্তিগুলো দখলে নিলেও, এ সম্পর্কে মুখে রা নেই প্রথম আলোর মতো হলুদ মিডিয়াগুলোর। তাদের যতো চুলকানি ইসলাম নিয়ে, ইসলামের বিষয়গুলো নিয়ে, মুসলিম ও মুজাহিদীনের কাজকর্ম নিয়ে। গনিমতের মালকে লুটের মাল বলে আখ্যায়িত করা এই ‘প্রথম আলো গোষ্ঠী’-কে রুখে দেওয়া এখন ঈমানের দাবি। মুসলিমদেরকে বুদ্ধিবৃত্তিক ময়দানে পরাজিত করতেই কাজ করে যাচ্ছে এই গোষ্ঠী, আঘাত হানছে ইসলামের উপর, মুসলিমদের উপর।


লেখক: উসামা মাহমুদ, প্রতিবেদক, আল-ফিরদাউস নিউজ।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআল-ফিরদাউস সাপ্তাহিকী | সংখ্যা : ০৭ | ফেব্রুয়ারি ২য় সপ্তাহ, ২০২০ ঈসায়ী
পরবর্তী নিবন্ধইয়ামানে চরম সঙ্কটেও নারীরা ভুলে যাননি পর্দা ও দ্বীনদারীর কথা