দিল্লিতে সহিংসতার ঘটনায় আরো চার জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। উত্তর-পূর্ব দিল্লির গোকুলপুরীর দু’টি নালা থেকে তিনটি দেহ ও শিব বিহারের এক নালা থেকে একটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬।
যেখানে-সেখানে পড়ে আছে আগুনে পোড়া যানবাহন, জনশুন্য সড়কের দু-পাশে দগ্ধ বাড়িঘর-দোকান। দিল্লির উত্তর-পূর্ব এলাকার শিব বিহার এখন ভুতুড়ে এলাকা। প্রাণ বাঁচাতে যে যেভাবে পেরেছে পালিয়েছে। আশ্রয় নিয়েছে অন্য এলাকায়। কিন্তু এখনও সেই ভয়াবহতার কথা ভুলতে পারছেন না তারা।
সহিংসতার বর্ণনা দিতে গিয়ে পালিয়ে আসা আরেকজন বলেন, ‘রড, তলোয়ার, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করেছে ওরা। আগুন থেকে কোনমতে বেঁচে গিয়েছিল আমার ভাই। তবে পরে ধরা পড়ে যায়। তাকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছে।’
চার দিন ধরে চলা এই সংঘাতে দিল্লি পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়ে ফোন আসে ১৩ হাজার ২০০টি। আসছিল কোথাও গুলি, কোথাও গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার খবর। তারপরও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
সহিংসতা বন্ধ হলেও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি ও পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় আস্থা রাখতে পারছে না দিল্লিবাসী। নতুন ভয় জেঁকে বসেছে তাদের মনে। চারিদিকে গুজব ভাসছে। সবার মধ্যে এখনও ভীতি কাজ করছে। ভয়ের পাশাপাশি প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই রয়েছে চরম ক্ষোভ। ৩৬ ঘণ্টা ধরে সহিংসতা চলতে দেয়ার তাদের এই ক্ষোভ।