টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নের চৌবাড়িয়ায় ধলেশ্বরী নদীর শাখা প্রবাহিত হয়েছে। এর দু’পাশে গড়ে উঠেছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসতিসহ প্রয়োজনীয় অনেক প্রতিষ্ঠান। নদী বিধৌত দেশের এই স্থানে দীর্ঘসময় জলধারা প্রাবাহমান থাকায় বছরের প্রায় অর্ধেক সময় এলাকার ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায় নৌকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি দাখিল মাদ্রাসা, ১টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১টি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও ১টি হাটের জনসাধারণের নিত্যদিনের চলাফেরা হয় এই শাখা নদীর উপর দিয়ে। যেখানে শিক্ষার্থীই ২হাজার ৫ শতাধিক। খবরঃ নয়া দিগন্তের
এ বিষয়ে পঁচাসারটিয়া মেহের আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, বর্ষায় শিক্ষার্থীরা নিয়মিত স্কুলে আসতে পারেনা ফলে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটে। বছরের প্রায় ছয় মাস এ নদীতে পানি থাকে। এখানে ১টি ব্রিজ অতিজরুরী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাণের ঝুঁকিতো থেকেই যায়।
সাবেক ইউপি সদস্য মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বছরের প্রায় অর্ধেক সময় গর্ভবতী, মুমূর্ষরোগীদের সময়মত হাসপাতালে নিতে খুব অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও আমাদের এই ব্রিজটি নির্মাণ হয়নি।
ভারড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার এলাকাবাসীর দাবীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, চৌবাড়িয়া পঁচাসারুটিয়ার ধলেশ্বরী শাখা নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করা অতিব জরুরী। এই রাস্তায় হাজারো জনসাধারণ প্রতিনিয়ত চলাচল করে। ব্রিজটি নির্মাণ হলে ৫টি ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হবে এবং শিক্ষার মান উন্নয়ন হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, চৌবাড়িয়া পঁচাসারুটিয়ার ধলেশ্বরী শাখা নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের ব্যাপারে আমরা সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট একটি সুপারিশ পেশ করবো।