নিউইয়র্ক নগরের সাবওয়েতে অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে নগরের ১৭টি এলাকায় ১৩২টি অপরাধ ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি ব্রুকলিনে একাধিক ছিনতাই ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট অথরিটি বা (এমটিএ) সূত্রে জানা গেছে, ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে ৪৪ ভাগ ব্যক্তিকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। অতীতেও তাদের বিরুদ্ধে অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। তাদের অধিকাংশের বয়স ১৮ বছরের নিচে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই অপরাধকে ‘ইয়ুথ অন ইয়ুথ ক্রাইম’ ও ছিনতাইয়ের অপরাধগুলোকে ‘জুভেনিল ক্রাইম’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
জানা গেছে, নিউইয়র্ক নগরের ম্যানহাটন, কুইন্স, ব্রুকলিন আর ব্রঙ্কসের সাবওয়েতে সবচেয়ে বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। আবার এর মধ্যে ম্যানহাটন ও ব্রুকলিনে এই অপরাধের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে।
পুলিশ কমিশনার ডারমোট সিয়া নগরের সাবওয়েতে ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ ঘটার কথা স্বীকার করে বলেন, ম্যানহাটন ও ব্রঙ্কসে ‘জুভিনিল ক্রাইম’ বৃদ্ধি পেয়েছে। খবরঃ প্রথম আলো
এদিকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত একজন মার্কিন সাংবাদিক ২০ ফেব্রুয়ারি তাঁর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ট্রেনের ভেতরে একটি কালো লোক তাঁকে আক্রমণ করতে আসে এবং ট্রেনের অন্য প্রান্ত থেকে অন্য একটি কালো যুবক চিৎকার করে বলতে থাকে, ডোন্ট ডু ইট’। সে দৌড়ে এসে ওই আক্রমণকারী তরুণকে প্রতিরোধ করে। কিন্তু প্রতিরোধ করতে আসা ওই যুবক নেমে যাওয়ার পর আবারও সে ওই বগিতে উঠে তার দিকে তেড়ে আসে। এরই মধ্যে ট্রেন একটি স্টেশনে থামলে তিনি লুকিয়ে অন্য একটি ট্রেনে ওঠেন। কালো মদ্যপ লোকটি বারবার কেন তাকে টার্গেট করেছিল, তা তিনি বুঝতে পারেননি। ট্রেনভর্তি মানুষের মধ্যে তাঁর ওপর যুবকটি এমন আক্রমণ করল, আরেকটি কালো ছেলে ছাড়া তাকে অন্য কেউ সাহায্য করতেও আসল না।’
ওই সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় এফ ট্রেনে এ ঘটনাটি ঘটে।
এর বাইরে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কুইন্সের পারসন্স বুলেভার্ডে স্বপন মির্জা নামের আরেক বাংলাদেশি তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার শিকার হন।