চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়েছে ৫৭ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা।
রাজস্ব আদায়ে মন্দা, সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ধস। তাই উন্নয়ন প্রকল্পসহ প্রতিদিনের ব্যয় নির্বাহের জন্য ধার করার বিকল্প নেই সরকারের। ধার করতে গিয়ে অর্থ-বছরের আট মাসেই বাজেট নির্ধারিত ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে ধার নেয়া লক্ষ্যমাত্রার ১১২ শতাংশ নিয়েছে সরকার। যা সংশোধিত বাজেটের ৭৩ শতাংশ।
খবরঃ যায়যায়দিন
অপরদিকে আয় না থাকায় ধার নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। তারপরও এই খাতে সরকারের বর্তমাণ ঋণের পরিমাণ ৫৮ হাজার কোটি টাকা। যা ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেয়ার লক্ষ্য থেকে ১০ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়েছে ৫৭ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। একই সময়ে সরকার ঋণ পরিশোধ করেছে এক লাখ ৩ হাজার ১৭৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রস জমার পরিমাণ এক লাখ ৬০ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময় পর্যন্ত সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা আছে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। আট মাসেই সরকার এই লক্ষ্যমাত্রার ১২ শতাংশ বেশি ঋণ নিয়েছে। এই হিসেবে ঋণ নেয়ার পরিমাণ ১১২ শতাংশ।
এদিকে ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় বাজেট সংশোধন করে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। সংশোধিত বাজেট অনুযায়ী ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেয়ার নতুন লক্ষমাত্রা হচ্ছে ৭২ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। মূল বাজেট থেকে সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে ২৫ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে আট মাসে সরকারের ঋণ নেয়ার কথা ৪৮ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। সেখানে ঋণ নেয়া হয়েছে ৫৭ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। যা লক্ষমাত্রা থেকে ৯ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা বেশি নেয়া হয়েছে। শতাংশের হিসেবে ঋণ নেয়া হয়েছে ৭২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।