“জয় বাংলা”কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান করার লক্ষ্যে এ বিষয়ে জারি করা রুলের নিষ্পত্তিতে গত মঙ্গলবার (১০ মার্চ) হাইকোর্টের ত্বগুত বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এ রায় দেন।
দুই বছর আগে ২০১৭ সালে এ রিট দায়ের করেন ত্বগুত কোর্টের কুখ্যাত আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। এ আবেদনের পক্ষে লড়েছেন আবেদনকারী নিজেই।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরের ৪ তারিখে এ রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছিলো হাইকোর্ট। রুলে “জয় বাংলা”-কে কেন জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করা হবে না, তা হাইকোর্ট থেকে জানতে চাওয়া হয়।
পরে ডিসেম্বরের ৫ তারিখ থেকে এ রুলের শুনানি শুরু হয়। রুলের বিবাদীরা হচ্ছেন-ত্বগুত মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব ও শিক্ষা সচিব।
২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টের রুল জারি করার পর কুখ্যাত বশির আহমেদ বলেছিলেন, জয় বাংলা হচ্ছে আমাদের জাতীয় প্রেরণার প্রতীক। পৃথিবীর ৬০টি দেশে জাতীয় স্লোগান আছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য যে আমরা আমাদের চেতনার সেই “জয় বাংলা”-কে স্বাধীনতার এতদিন পরেও জাতীয় স্লোগান হিসেবে পাই নাই। তাই তার ভাষ্য অনুযায়ী, সে স্বপ্রণোদিত হয়ে আদালতে রিটটি দায়ের করে ।
আদালতে এ রায়ের মধ্যে দিয়ে জাতীয়তাবাদের মত সাম্প্রদায়িক ধর্ম বিরোধী একটি স্লোগানকে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের উপর চাপিয়ে দিলো । বিশিষ্টজনেরা এ রায়কে মানুষের বাকস্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।