ভারতের হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রোববার, এক দিনের জন্য সারা ভারতে ‘জনতার কারফিউ’-এর আড়ালে, আদতে ‘লক ডাউন’ ঘোষণা করেছে। আরো এক ধাপ এগিয়ে দেশটির রাজস্থান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এই লক ডাউন বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত করেছেন। অর্থাত্, আগামী ১০ দিন একরকম বন্ধই চলবে রাজস্থানে। লক ডাউন চলাকালীন রাজ্যের প্রতিটি সীমান্ত সিল করার নির্দেশ দিয়েছেন অশোক গেহলট। তবে, সবজি বাজার খোলা রাখতে বলেছেন। খোলা থাকবে ওষুধের দোকানও। পাওয়া যাবে দুধ-সহ ডেয়ারি পণ্যও। তবে, অন্যান্য দোকানপাট, মল-মার্কেট-সহ বাকিসব লক ডাউন থাকবে। দেশে রাজস্থান ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে টানা ১০ দিন লকডাউন ঘোষণা করেছে। নয়া দিগন্তের রিপোর্ট
এর আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণকে ‘মহামারী’ ঘোষণা করে রাজস্থানে ১৪৪ ধারা জারি করেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বুধবার তিনি এই নির্দেশিকা জারি করেন। যার জেরে রাজ্যের কোনো এলাকায় ৪ জনের বেশি ব্যক্তির জমায়েত নিষিদ্ধ হয়। লক ডাউনের সঙ্গে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১৪৪ ধারাও বলবত্ থাকবে।
গত বুধবার রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে একই পরিবারের তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু ধরা পড়ে। ইতালি থেকে গত ৮ মার্চ ওই পরিবারের সদস্যরা ভারতে ফিরেন। বিদেশ ফেরত ওই পরিবারের সদস্যদের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য জয়পুরের এমএমএস হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরেই আক্রান্ত পরিবারের বাসভবন থেকে ১ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কারফিউ জারি করা হয়।
করোনা আক্রান্ত সন্দেহে রাজস্থানে এখন পর্যন্ত মোট ৪৬৭ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৪৪৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ১৮ জনের রিপোর্ট এখনো আসেনি।
এদিকে, শনিবার রাত পর্যন্ত গোটা ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩১৫ জন। এর মধ্যে শুধু শনিবারই ৭৯ জনের করোনা ধরা পড়ে। কেরালায় আক্রান্তের সংখ্যা শনিবার ৫০ ছাড়িয়েছে।
لاعدوى ولا طيرة في الاسلام
ইসলামে ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নেই
আর এই করোনার কোন খমতা নাই
যদি আল্লাহ কাওকে না দেন।
করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশংকা থেকে গৃহিত সতর্কতামূলক পদক্ষেপের বিষয়ে অবহেলা করার সুযোগ মোটেই নেই ।
হাদীসের ভাষ্য- لا عدوى ولا طيرة ….
সংক্রমণ এবং কুলক্ষণ বাস্তব নয়।- সহীহ মুসলিম ।
এই হাদীসটি ইসলামি আকীদা বর্ণনা করছে । আমল বা কর্মপন্থার বিষয়ে এতে কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই । রোগ-ব্যধির সংক্রমণজাতীয় কোনো সংকটে কর্মপন্থা বিষয়ে এই হাদীসটি নিরব । এমন ক্ষেত্রে মুমিনদের করণীয় কর্মপন্থা বিষয়ে অন্য দুটি হাদীসের ভাস্য দ্ব্যর্থহীন ।
একটি হল- فر من المجذوم فرارك من الأسد
কুষ্ঠ আক্রান্ত ব্যক্তি হতে দূরে সরে থাক যেমন সিংহ থেকে পালিয়ে থাকো। -সহীহ বুখারী
অপর হাদীসটি হল- لا يورد ممرض على مصح অসুস্থ ব্যক্তি যেন সুস্থদের কাছে না ভিড়ে।-সহীহ বুখারী
এমন সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকতে এ বিষয়ে কোনো সংষয় কিংবা গাফলতি মুমিনের শান হতে পারে না।
কুরআন বলেছে-واذا مرضت فهو يشفين
অসুস্থ হলে আরোগ্য দান করেন আল্লাহ । কিন্তু চিকিৎসককে দিয়ে চিকিৎসা করা সুন্নত ।