টানা ২১ দিন ‘লকডাউন’ ঘোষণা করায় ভারতের ‘দিন এনে দিন খাওয়া’ মানুষেরা পড়েছেন মহা বিপদে।
দিনভিত্তিক মজুরির শর্তে ভারতের বিশাল একটা জনগোষ্ঠী কাজ করে থাকে। বিভিন্ন কলকারখানাই তাদের আয়ের প্রধান উৎস। সারা দেশ অচল হয়ে যাওয়ায় আয়ের এই উৎস বন্ধ হয়ে গেছে।
উত্তর প্রদেশের এক দিনমজুর, যিনি প্রতিদিন ৬০০ রুপি আয় করে ঘরে ফেরার সময় চালডাল কেনেন। বিবিসিকে তিনি বলছিলেন, ‘প্রতিদিন আমার পাঁচজনকে খাওয়াতে হয়। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি আমি জানি। কিন্তু ছেলেমেয়েকে তো খাবার দিতে হবে।’
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর নভেল করোনাভাইরাসে ভারতে ৫০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১০ জন।
এই অবস্থায় সংক্রমণ থামাতে লকডাউন ঘোষণা করার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিম্ন আয়ের মানুষদের অর্থ সরবরাহের কথা বলেছে।
কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি কতটা রাখা হবে তা নিয়ে চিন্তায় আছেন খেটে খাওয়া মানুষ। রাজপাল সিং নামের একজন যেমন বলছিলেন, ‘বলা হচ্ছে অর্থ দেয়া হবে। কিন্তু সেটি কীভাবে তা এখনো আমরা জানি না। আর দিলেও কতদিন, কত করে দেয়া হবে, তাও বলা হয়নি। এই অবস্থায় আমরা শঙ্কিত।’