সম্প্রতি কোনো কারণ ছাড়াই কুখ্যাত বাগরাম কারাগারের নির্যাতিত বন্দীদের ওপর নৃশংস অত্যাচার চালানো শুরু করেছে কাবুল প্রশাসন। বিগত বছরগুলোতেও এতো নিষ্ঠুরতা দেখা যায়নি। ঠিক কী কারণে কাবুল প্রশাসন এমন কাপুরুষের মতো কাজ করছে তা এখন পর্যন্ত অজানা।
২৫শে মার্চ বাগরাম কারাগারের পঞ্চম এবং ষষ্ঠ ব্লকের বন্দীদের সূর্যের আলোতে সময় কাটানো নিষিদ্ধ করে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। এ নিষেধাজ্ঞার পেছনে কোনো কারণই দেখায়নি কর্তৃপক্ষ। বন্দীরা অধিকার দাবি করলে কারা পুলিশ বেধড়ক পেটাতে শুরু করে তাদের। সেই সাথে চলে নির্বিচার ছুরিকাঘাত। ৩২ জন বন্দী মারাত্মকভাবে আহত হয়। চিকিৎসা দেওয়া দূরে থাক, অধিকার দাবি করার শাস্তিস্বরূপ আহত বন্দীদের ডেল্টা ব্লকে নিয়ে যাওয়া হয়। ওষুধপত্র, খাবার-দাবার বা বিছানা-বালিশ ইত্যাদি দেওয়া ছাড়াই মেঝেতে ফেলে রাখা হয় মারাত্মকভাবে আহত বন্দীদের।
ধারাবাহিক নিষ্ঠুরতার অংশ হিসেবে ২৮ শে মার্চ, কারা পুলিশ হামলে পড়ে ব্রাভো ব্লকের বন্দীদের ওপর। একজন বন্দীকে শহীদ করে দেয় পুলিশ। পিটিয়ে কোমাতে পাঠিয়ে দেয় অসংখ্য বন্দীকে। আহত হয় কমপক্ষে ৭০ জন।
ইসলামী ইমারতের কারাবন্দী বিষয়ক কমিশন, অত্যন্ত নাজুক সময়ে কারাবন্দীদের সাথে কাবুল প্রশাসনের এই কাপুরুষোচিত, বর্বর আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। রেড ক্রস-সহ সকল মানবাধিকার এবং দাতব্য সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানিয়ে কমিশন বলেছে, ‘সবাইকে কাবুল সরকারের এই বর্বর আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাতে হবে। সেই সাথে কারাবন্দীদের ওপর অত্যাচার,নিপীড়ন বন্ধ করা এবং নির্যাতিত বন্দীদের প্রয়োজন পূরণে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে ।
কমিশন সতর্ক করে বলে, ‘যদি নির্যাতিত বন্দীদের ওপর চালানো এই ভয়ঙ্কর অত্যাচার অনতিবিলম্বে বন্ধ না হয়, তাহলে কমিশন সামরিক কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে প্রতিশোধ নেবার ব্যবস্থা করবে।’
ইসলামী ইমারতের কারাবন্দী বিষয়ক কমিশন
০৪/০৮/১৪৪১ হিজরী
২৮/০৩/২০২০ ঈসায়ী
আল্লাহ ভাইদের মুক্তি তরান্বিত করুক।