সিরিয়ার একটি স্থানীয় ত্রাণ সংস্থার বরাত দিয়ে মিডলইস্ট মনিটর গতকাল ২০ এপ্রিল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে যুদ্ধবিরতির পর থেকে শরনার্থী ক্যাম্পগুলি থেকে বাধ্য হয়ে প্রায় ১,৮০,০০০ হাজার মানুষ ইদলিব এবং আলেপ্পোর আশেপাশের শহরগুলোতে ফিরে এসেছেন।
ইদলিবের চারপাশে শুধুই ধ্বংসস্তূপ। এমন একটি বাড়িও নেই যেখানে ক্রুসেডার জোটের হিংস্র থাবা পড়েনি। রাস্তা-ঘাটগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত ইট-বালুতে ডাকা পড়েছে।
দীর্ঘ ৯ বছর ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় বাস্তুহারা এই সব মানুষ শরনার্থী ক্যাম্পগুলিতে বহুবিধ ভয়ানক সমস্যায় দিনযাপন করছিলো। ফলে ভুক্তভোগীরা অধীর আগ্রহে বাড়ি ফেরার অপেক্ষা করছিলো বহু আগে থেকে। সম্প্রতি করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব সেই সুযোগটাই এনে দিয়েছে।
ইদলিবের বাসিন্দা তাহের আল মাতার বলেন , “শরনার্থী ক্যাম্পগুলিতে আমরা লাঞ্ছিত অবস্থায় কাটিয়েছি। এর চেয়ে নিজের ধ্বংসাবশেষ বাড়িটিই আমার কাছে উত্তম। পবিত্র রমজান মাসে ঘরে বসে আমার ছয় সন্তানের সাথে কাটাতে চাই। আল্লাহ তায়া’লার প্রশংসা করছি ,কারণ তিনি আমাদের বাড়িতে আসার তওফিক দিয়েছেন। এখন আমি নিজের হাতেই যতটুকু পারি বাড়ি মেরামত করছি, কারণ আমার কাছে কোন অর্থ নেই”।
তিনি বলেন,”আমারা শরনার্থী ক্যাম্পগুলিতে গাদাগাদি করে থাকতাম, সেখানে নিরাপদ দূরুত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয় না, কোন ধরনের চিকিৎসা সামগ্রী ছিলনা। ফলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশংকা ছিলো”।
ইদলিবে এখন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী ও ভাইরাস পরিক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় কিট নেই। যদিও এখনো ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়ায়নি তবু মানবিক বিপর্যয় রোধে তাদের সুরক্ষায় আরও লক্ষ লক্ষ লোকের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববাসীকে অবশ্যই যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।