
চট্টগ্রাম মহানগরীর টেরিবাজার মোহাদ্দেছ মার্কেটের প্রার্থনা বস্ত্রালয়ের দোকানকর্মী গিরিধারী চৌধুরীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর মৃত্যুর ঘটনায় সহকারী উপ-পরিদর্শক কামরুল হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। কামরুল কোতোয়ালী থানার অধীনে টেরিবাজার পুলিশ বিটে কর্মরত ছিলেন।
হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনার পরপরই ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গিরিধারী চৌধুরীকে টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের নিয়োগ দেওয়া নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করেছে।
এই হত্যাকারী সহকারী উপ-পরিদর্শক কামরুল হাসান বরখাস্ত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নিহত গিরিধারী চৌধুরীর ছেলে পরেশ চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট সুরতাহাল রিপোর্ট করার সময় শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন। আমরা এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ ঘটনার চারদিন পরও মামলা করতে থানায় না যাওয়ার বিষয়ে পরেশ চৌধুরী বলেন, আমার এক বোন পুলিশে চাকরি করে। বোন ও ভগ্নিপতি চট্টগ্রামে আসার পর মামলা করব।
এই বিষয়ে মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান বলেন, তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কামরুল হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য দোকানদার গিরিধারী চৌধুরীকে সন্ত্রাসী পুলিশের হেফাজতের পরই তিনি মারা যান। অন্যায়ভাবে মারধর না করলে এমনটা হওয়া সম্ভব না বলেই মনে করছেন সবাই। আর শুধু মাত্র লোকদেখানো সাময়িক বরখাস্ত করা আইনের প্রতি উপহাস ছাড়া কিছুই নয়। আর এমনটা ঘটতেই থাকলে সমাজে অশান্তির তীব্রতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে এটা এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।