পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের প্রদেশের “শুরাশ” অঞ্চলটিতে গত বেশ কয়েকদিন ধরে অস্থিরতা বিরাজ করছে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, দেশটির নাপাক সেনাবাহিনী উক্ত অঞ্চলটির জনসাধারণের জমি অবৈধভাবে দখল করছে। আর এতে উত্তেজনা বিরাজ করছে পুরো অঞ্চলটিতে।
“ট্রাবল নিউজ” এর সূত্রে জানা যায় যে, সাম্প্রতিককালে পাকিস্তানি নাপাক সেনাবাহিনী কুচলক জেলার জালুগীর এলাকায় “কাকার” উপজাতিদের কয়েক হাজার একর জমি দখল করেছে, সেখানকার সাধারণ মানুষজন সামরিক বাহিনীর চাপের কারণে এবিষয়টি নিয়ে নীরব রয়েছেন।
কোনও অভিযোগ বা আওয়াজ উত্থাপনের ক্ষেত্রে জনসাধারণকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল যে, যদি কেউ এই বিষয়টি নিয়ে আওয়াজ ও প্রতিবাদ করে, তাহলে তাদেরকে গ্রেপ্তার ও হত্যা করা হবে। তাই এলাকাটির জনসাধারণ নাপাক বাহিনীর ভয়ে মুখ খুলছেন না।
সূত্র মতে, কেবল এই জমিই নয়, এর আগেও কাসি, বাজি ও অন্যান্য ছোট ছোট গোত্রের জমি দখল করেছে সামরিক বাহিনী, কিন্তু কেউ নাপাক বাহিনীর চাপের হুমকির কারণে কোন প্রতিবাদ করছেনা।
সামরিক বাহিনীর ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুচলকের এক বাসিন্দা বলেছিলেন যে, দখলকৃত জমিগুলো সামরিক বা রাষ্ট্রীয় কোনধরণের কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে না, তবে মনে হচ্ছে যে এই জামিগুলো বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা হবে যা স্থানীয় সামরিক বাহিনী ব্যবহার করবে।
এটি লক্ষ করা উচিত যে, এর আগেও পাকিস্তানের নাপাক সামরিক বাহিনী মুরী, সোওয়াত, কালাম, অ্যাবোটাবাদ ও মানসেহের মতো আকর্ষণীয় জায়গায় অবৈধভাবে জনসাধারণের
হাজার হাজার একর জমি দখল করেছে। সেখান থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে হাজার হাজার মুসলিমকে।