কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদের আগুনে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই উত্তাপ পৌঁছে গেছে ফ্রান্সেও। ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে দেশটিতে বিক্ষোভ করেছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। এ সময় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে।
করোনাভাইরাসের কারণে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্যারিসের বিচারিক আদালত এলাকা প্লাস দ্যো ক্লিসিতে বিক্ষোভ করে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক সমর্থক গোষ্ঠী। আর এই বিক্ষোভ নেতৃত্ব দিয়েছেন ৪ বছর আগে ফ্রান্সে পুলিশি হেফাজতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ যুবক অ্যাডামা ট্রোরির বড় বোন আসা ট্রোরি।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। ভাঙচুর আর অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই ঘটনায় ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফ কাস্টানার বলেছেন, গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্যারিসে যে বাড়াবাড়ি হয়েছে তার কোনোটিই ন্যায়সঙ্গত নয়। যেখানে জনসাধারণের স্বাস্থ্য রক্ষায় সকল সমাবেশ নিষিদ্ধ। তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং সুরক্ষার জন্য পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।
২০১৬ সালে ফ্রান্স পুলিশি হেফাজতে নিহত হয় ২৪ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ যুবক অ্যাডামা ট্রোরি। সে সময় এর প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। গঠিত হয় অ্যাডামা ট্রোরি পরিবারের সমর্থক গোষ্ঠী।
প্রসঙ্গত, সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিসে ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাওভিন। এক প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা ১০ মিনিটের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জর্জ ফ্লয়েড নিশ্বাস না নিতে পেরে কাতরাচ্ছেন এবং বারবার শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাকে বলছেন, ‘আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না।’
এদিকে, জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় গত সোমবার সপ্তম দিনের মতো উত্তাল বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। বিক্ষোভ এসে পড়েছে হোয়াইট হাউসের সামনেও। ৪০টি শহরে কঠোর কারফিউ জারি করার পরও তা উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে আসেন বিক্ষোভকারীরা। আমাদের সময়