প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বহু আকাঙ্ক্ষিত নারায়াণপুর কপোতাক্ষ নদের ওপর নির্মিত সেতুটির দুই পাশের একাধিক স্থানে রাস্তায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ভাঙন দ্রুত মেরামত করা না হলে দুই পাশের সড়কই কপোতাক্ষের গর্ভে বিলীন হবার সমূহ সম্ভাবনা। এমন অবস্থায় সেতুটি দুই পাশ মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন চৌগাছাবাসী।
জানা গেছে, উপজেলার নারায়ণপুর ও হাকিমপুর ইউনিয়নবাসীসহ এলাকার কমপক্ষে ১ লাখ জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম নারায়ণপুর কপোতাক্ষ নদের ওপর সেতু। দেশ বিভাগের পরও এই স্থানটি দিয়ে মানুষ খেয়া পারাপার হতো। স্বাধীনতার পর যতবার নির্বাচন হয়েছে প্রতিটি নির্বাচনে এ জনপদের মানুষের প্রাণের দাবি ছিল কপোতাক্ষ নদের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা। পরবর্তীতে নারায়ণপুর গ্রামের নিচে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় অসমাপ্ত ব্রিজটি পড়ে থাকে। ফলে জনগণের আশায় গুড়ে বালি পড়ে। জনগণ হন দিশেহারা। এক প্রকার ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে ব্রিজের সকল কার্যক্রম।
সর্বশেষ বর্তমান সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ব্রিজটি নির্মানের জন্য ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৬ টাকা বরাদ্দ দেয়। এই বরাদ্দের পর সরকারের প্রথম দিকে সেতুটি পুনরায় নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন সেতুর কাজ শেষ হওয়ার পর নির্মাণ করা হয় সেতুর দুই পাশের রাস্তা। রাস্তার কাজ শেষে সেতুটি ব্যবহারে খুলে দেওয়া হয়। সেতু নির্মাণের কয়েক বছর যেতে না যেতেই সেতুর পূর্ব পাশে রাস্তায় দেখা দেয় ভাঙন। বিষয়টি গণমাধ্যমে লেখালেখি হলে তা সংস্কার করা হয়।
মূল সেতুর দুই পাশে প্রায় ১৫ শ গজ সড়কের দুই পাশ ভেঙে সড়কের ইট খোয়া পিচ বালু সব কিছুই এখন পুকুরের পানিতে। সেতুর পূর্ব পাশে মূল সেতুসংলগ্ন সড়কে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বিশাল একটি অংশ এর মধ্যে ভেঙে কপোতাক্ষের গর্ভে চলে গেছে। এই অবস্থার উন্নতি না হলে সেতুতে ওঠার সড়ক পুরোটাই ভেঙে মিশে যাবে কপোতাক্ষ নদে- এমনটি মনে করছেন স্থানীয়রা। বর্তমান ভাঙন স্থান দিয়ে অত্যন্ত প্রাণঝুঁকি নিয়ে যানবাহনসহ পথচারীরা পারাপার হচ্ছেন।
সূত্র:কালের কন্ঠ