চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার ঠাকুরপুর সীমান্তের কাছ থেকে দুজন বাংলাদেশীকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করেছে স্থানীয় গ্রামবাসী। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গুরুতর জখম ওই দুই বাংলাদেশীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে সন্ধ্যার সাড়ে সাতটার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। আহত দুজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গতকালই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
আহতরা হলেন দামুড়হুদা উপজেলা ও দর্শনা থানার কুড়–লগাছি ইউনিয়নের ঠাকুরপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত সামাদের ছেলে বাবু মিয়া (২২) ও একই গ্রামের মাঝেরপাড়ার ইসাহাক আলীর ছেলে কদম আলী (৩০)। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় কোনো মামলা রুজু হয়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঠাকুরপুর গ্রামের বাবু মিয়া ও কদম আলী শুক্রবার বিকেলের দিকে কোনো একসময় ভারতে গেলে তাদেরকে বেদম প্রহার করে বাংলাদেশী সীমানার অভ্যন্তরে ফেলে রেখে যাওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির পরিচালক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান জানান, ‘ভারত সীমান্তে প্রবেশ করলে ভারতীয় কে বা কারা বাবু মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় ব্যক্তিরা বাবুকে উদ্ধার করে ঠাকুরপুর বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে এলে সেখান থেকে তাকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এছাড়াও গুরুতর জখম কদম আলী নামের আরো একজন বাংলাদেশী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এ বিষয়টি সম্পর্কে আমরা পরে জানতে পেরেছি।’ নয়া দিগন্ত
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহবুর রহামান বলেন, ‘দুজনের শরীরেই পিটিয়ে জখম ও ধারালো কোনো বস্তু বা ছুরি জাতীয় অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। দুজনের মধ্যে কদমের অবস্থা অশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া বাবু মিয়াকে হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’