উত্তর-পূর্ব দিল্লির পগরমে আক্রান্তরা ক্ষতিপূরণের দাবি করেছিলেন। তাদের সেই দাবিকে অশ্লীল ভাষায় সমালোচনা করেছেন কারওয়াল নগরের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট মালাউন পুনীত কুমার প্যাটেল। তাঁর বিরুদ্ধে আশু তদন্ত চেয়ে উত্তর-পূর্ব দিল্লির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শশী কৌসলকে চিঠি পাঠিয়েছেন দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান জাফারুল ইসলাম খান।
গত মঙ্গলবার ইমেলের মাধ্যমে পাঠানো এই চিঠিতে জাফারুল বলেছেন, উত্তর-পূর্ব দিল্লির অনেক নিপীড়িত মুসলিম ক্ষতিপূরণের আবেদন করতে পারেননি। এই প্রক্রিয়াকে পুনরায় শুরু করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি উচ্চ ন্যায়ালয়। তিনি আরও বলেছেন, অনেকে কারওয়াল নগরের এসডিএমের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আবেদনপত্র জমা দিতে, কিন্তু তিনি তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন এবং অকথ্য ভাষায় তাদের গালিগালাজ করেছেন। গেরুয়া সন্ত্রাসীদের নিপীড়িতরা কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে গেছেন। জাফারুল এই চিঠিতে আইনজীবী মিশিকা সিংহের একটি ট্যুইট জুড়ে দিয়ে দেখিয়েছেন যে কীভাবে এসডিএম প্যাটেল দুর্ব্যবহার করেছেন হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে।
ওই ট্যুইটে মিশিকা লিখেছিলেন যে প্যাটেল পগরমে পীড়িতদের ৩-৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে ‘নির্যাতন’ করেছেন। মানসিকভাবে হেনস্থাও করেছেন। পগরমে আক্রান্তরা আইনজীবীকে ফোন করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। জাফারুল এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত চেয়েছেন এই চিঠিতে। দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশনের প্রধান জানিয়েছেন, ইমেল, ফোন কল ও অন্যান্য সূত্র থেকে তিনি তথ্য জোগাড় করেছেন। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে অনেক লেখালিখি হয়েছে। তাই তিনি বিষয়টি সকলের নজরে আনতে চেয়েছেন।
তিনি বলেছেন, চিন্তার বিষয় হল, এই এলাকার ১৮-৩০ বছরের ছেলেদের লকডাউনের সময়ে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ওই পগরমে জড়িত থাকার মিথ্যে অভিযোগে। দিল্লি পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডে যুক্ত থাকার প্রমাণ রয়েছে।
সূত্র: পুবের কলম