মুরতাদ কাবুল সরকারের নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানের হেরাত ও হেলমান্দ প্রদেশের দুটি কেন্দ্রীয় কারাগার হতে চুক্তি অনুযায়ী মুক্তি দেওয়া হয়েছে ৪৫ জন তালেবান মুজাহিদকে।
রবিবার আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত প্রদেশের কাবুল সরকারের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছে, তারা শান্তি আলোচনার প্রাক্কালে প্রদেশের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১২ জন কারাবন্দী তালেবান মুজাহিদকে মুক্তি দিয়েছে।
হেরাতের প্রাদেশিক গভর্নরের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তালেবান বন্দীদের যুদ্ধের ময়দানে ফিরে না যাওয়ার শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুক্তিপ্রাপ্ত তালেবান মুজাহিদগণ সাংবাদিকদের দেওয়া সাক্ষাতকারে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, ‘আমাদের যুদ্ধের ময়দানে আসা বা না আসার সিদ্ধান্ত নিবে ইসলামি ইমারত, এর বাহিরে কাবুল সরকারের কোনো অধিকার নেই যে আমাদের উপর নিজেদের থেকে কোন শর্ত চাপিয়ে দিবে।’
এদিকে তালেবানদের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র মুহতারাম সুহাইল শাহিন হাফিজাহুল্লাহ্ জানিয়েছেন, গত ১১ জুলাই ইমারতে ইসলামিয়ার মুজাহিদিনও তাদের নিয়ন্ত্রিত ঘোর প্রদেশের একটি কারাগার থেকে কাবুল সরকারের ১৭ সরকারি সেনাকে মুক্তি দিয়েছেন। এরপরে গতকাল হেলমান্দের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৩৩ জন কারাবন্দী তালেবান মুজাহিদকে মুক্তি দিয়েছে কাবুল সরকার।
ইমারতে ইসলামিয়া ও আমেরিকার মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে আন্তঃআফগান আলোচনার আগে ৫ হাজার কারাবন্দী মুজাহিদকে মুক্তি দেওয়ার শর্ত রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় চার হাজার মুজাহিদকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করছে কাবুল সরকার। কিছুদিন পূর্বে কাবুল সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, তারা ৬৮০ জন কারাবন্দী তালেবান মুজাহিদকে মুক্তি দিবে না। কাবুল সরকারের এমন বিবৃতির পর তালেবানও যুদ্ধের ময়দানে কাবুল বাহিনীর উপর চাপ বাড়ান। ফলে বাধ্য হয়ে কাবুল সারকার কারাবন্দী সকল তালেবান মুজাহিদকেই অতি দ্রুত মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছে।