চামড়ার ন্যায্য মূল্যের দাবিতে জাতীয় উলামা পরিষদের সমাবেশ

0
669
চামড়ার ন্যায্য মূল্যের দাবিতে জাতীয় উলামা পরিষদের সমাবেশ

কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণের দাবিতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় উলামা পরিষদের পূর্ব ঘোষিত গণ সমাবেশ। ১৭ জুলাই বাদ জুমা বা এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।

গণসমাবেশে বক্তারা দেশের অর্থনীতি এবং এতিম-গরীবের হক রক্ষায় কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের লক্ষ্যে বিদেশী এজেন্ট যারা বাংলাদেশের উন্নতি ও অগ্রগতি চায় না, তারাই পেছন থেকে কাজ করছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, কুরবানী মৌসুমে পশু যবাই করা হয় ওয়াজিব বিধান পালনের জন্য। কুরবানীর এই বিধান পালনের মাধ্যমে মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য মুসলমানদের যে কোন আত্মত্যাগে প্রস্তুত থাকার মনোভাব প্রতিফলিত হয়। পাশাপাশি এই কুবানীর গোশত বন্টনের মাধ্যমে মানবিকতার চর্চা, আত্মীয়তার বন্ধন দৃঢ় করার চর্চা’সহ অনেক উপকার নিহিত রয়েছে। কুরবানীর পশুর গোশত গরীব-মিসকীনদের মাঝেও বিলি-বন্টন করা হয়। কুরবানীর চামড়ার সম্পূর্ণ টাকাও গরীবরাই পেয়ে থাকেন।

সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, চামড়া শিল্পকে ধ্বংসে তৎপরত সিন্ডিকেট চক্রকে প্রতিহত করে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামাঞ্জস্য রেখে চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণের জন্য আমরা জোরালো দাবি জানাচ্ছি। দেশের অর্থনীতিকে রক্ষার পাশাপাশি চামড়ার প্রকৃত হকদার এতীম, গরীব ও দুস্থ মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরী। অন্যথায় গত বৎসরের মতো লাখ লাখ চামড়া বিনষ্ট হওয়ার মতো ঝুঁকির আশঙ্কা তৈরি হতে পারে এবং দেশের বিপুল সংখ্যক এতিম, গরীব ও নি:স্ব মানুষ বঞ্চিত হবে, দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি বলেন, দেশের প্রধান রফতানি শিল্পের মধ্যে পাট, চা ও চামড়া অন্যতম। কিন্তু দেশ যখন অর্থনীতিতে অগ্রসর হচ্ছিল, এই তিনটা গুরুত্বপূর্ণ শিল্পখাতকেই ধ্বংস করতে কুচক্রী মহল ওঠেপড়ে লেগেছে, যাতে এ দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়া যায়।

কুরবানীর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণের দাবিতে জাতীয় উলামা পরিষদের পক্ষে ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ (১৮ জুলাই) শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হবে।

মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমীর পরিচালনায় গণ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মুফতি শরীফুল্লাহ, মাওলানা জয়নুল আবেদীন প্রমুখ। ইনসাফ২৪

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআসামে ৩ বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয়রা
পরবর্তী নিবন্ধভুয়া এন-৯৫ মাস্ক বিএসএমএমইউতেও