সিরিয়ায় চলছে ইতিহাসের নির্মমতম মুসলিম গণহত্যা। ২০১১ সাল থেকে চলমান যুদ্ধে ১৪ হাজারের বেশি সুন্নি মুসলিমকে হত্যা করেছে করেছে সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদ সরকার।নিহতের সংখ্যা ১৪ হাজার বলা হলেও প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বহুগুণ বেশি।
আমেরিকা ভিত্তিক সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের তথ্য প্রমাণ পেয়েছে তারা। এসব হত্যার ৯৮ শতাংশে বাশার আল আসাদের বাহিনী জড়িত। হত্যাকাণ্ডে সবচেয়ে ভয়ানক বলা হচ্ছে আসাদবাহিনীর নৃশংসতাকে।
নিহতদের মধ্যে, অংসখ্য নারী ও শিশু রয়েছে। যাদের অধিকাংশকে সুন্নি মুসলিম গণহত্যার খলনায়ক বর্বর আসাদ ও তার বাহিনী হত্যা করেছে।
মানবাধিকার সংগঠনটি জানায়, বিরোধীদের উপর প্রতিশোধ নিতে সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়। ৭২টি উপায়ে বন্দিদের উপর শারীরিক, মানসিক এবং যৌন নির্যাতন চালায় আসাদ বাহিনী।
এছাড়া, বর্তমানে আটক বন্দিদের খুবই নিম্নমানের পরিবেশে রাখা হয়। যেখানে পয়োনিষ্কাষণ ব্যবস্থা খুবই নিম্ন মানের। মাত্র ২৪ বর্গমিটারের একটি কক্ষে কমপক্ষে ৫০ জন বন্দিকে আটকে রাখা হচ্ছে।যা সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন।
সিরিয়ায় বর্তমানে ৫ লাখ সুন্নি মুসলমান কুখ্যাত আসাদ সরকারের বন্দিশালায় আটক রয়েছে। বেশিরভাগ নাগরিককে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। এসব ব্যক্তি সম্পর্কে তাদের পরিবার বা কাছের মানুষরা কিছুই জানেন না।
এদিকে সিরিয়ার সুন্নি মুসলিম গণহত্যার খলনায়ক ও দেশটির স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদকে সামরিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক সহযোগিতা করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সন্ত্রাসী শিয়া ইরান।
চলতি মাসের ৮ জুলাই সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে সফররত ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল বাকেরি এবং সিরিয়ার স্বৈরশাসক আসাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সশস্ত্র বাহিনীর উপপ্রধান লে. জেনারেল আলী আব্দুল্লাহ আইয়্যুব এ চুক্তিতে সই করেন।
সুন্নি মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত আসাদ বাহিনী ও ইরানের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরে সন্তোষ প্রকাশ করে আসাদ বলেন, এ চুক্তি তেহরান ও দামেস্কের মধ্যকার কৌশলগত সম্পর্কের গভীরতা ফুটিয়ে তুলেছে। এ ছাড়া, দু’দেশ বিগত বহু বছর ধরে যে যুদ্ধ চালিয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় এ চুক্তি সই হয়েছে।
সূত্র : ইনসাফ টুয়েন্টি-ফোর ডটকম।