রাজনৈতিক দলাদলির আর এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখার লড়াই, সেই সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের সদিচ্ছার অভাবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে ঠাঁই পাচ্ছে না প্রকৃত ঘরহীন মানুষেরা। এতে করে ভেস্তে যেতে বসেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ি ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের (গুচ্ছগ্রামের) কার্যক্রম।
ইউপি সদস্যদের অজ্ঞতা আর অনীহার কারণে সুবিধাভোগী নির্বাচনে প্রভাব খাটাচ্ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে করে সম্প্রতি নেতাদের দুই দলের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। অথচ নেতারা যাদের নাম ঘর বরাদ্দপ্রাপ্তির জন্যে পাঠান তাদের অনেকেই সেই ঘরে বাস করেন না। অনেকে সেই ঘরকে নিজেদের জিনিসপত্র রাখার কাজে ব্যবহার করছেন। আবার এমন অনেকেই আছেন যাদের নামে ঘর বরাদ্দ নিয়ে দখল করে রেখেছেন অন্য লোক। আবার একই পরিবারের ভাই, বোন, শ্যালিকার নামেও এই ঘর বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। ঘর বরাদ্দপ্রাপ্তদের অনেকেরই নিজস্ব জমি ও ঘরবাড়ি রয়েছে। এমন হাজারো অভিযোগের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে কাজিপুরের খাসরাজবাড়ি ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের কার্যক্রম।
অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত এই প্রকল্পের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে গত মাসে তিনবার যমুনার মাঝে জেগে ওঠা চরের খাসরাজবাড়ি ইউনিয়নে গিয়েছেন কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এই সমস্যা সমাধানে তিনি জনপ্রতিনিধিদের ডেকে অনুরোধ করেছেন সঠিক তালিকা দিতে। কিন্তু ইউপি সদস্যগণ অথবা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের একপক্ষ যে তালিকা দেন অন্য পক্ষ তাতে নানা অনিয়মের বিষয় তুলে ধরেন। কিন্তু এখনও কোনো সুরাহা তো হয়-ই-নি বরং এ নিয়ে গত শনিবার খাসরাজবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোতাহারের লোকজনের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এমন তথ্যই জানা গেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়সূত্রে। আর এই গ্যাঁড়াকলে পড়ে প্রকৃত ঘরহীন পরিবারগুলো এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
কাাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, বার বার তাগাদা দিয়ে যে তালিকা পাই সে তালিকার লোকদের সম্পর্কে ওই ইউনিয়নের একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেন।
সূত্র: কালের কন্ঠ