এক ব্যক্তির পকেটে ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে আটকের চেষ্টার অভিযোগে সখিপুর থানা পুলিশের দায়ের করা মামলায় এক পুলিশ কনস্টেবল এবং তাদের এক সোর্সের কারাদণ্ড হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুপন কুমার দাশ এই রায় দেন।
দণ্ডিতদের মধ্যে মির্জাপুরের বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক কনস্টেবল রাসেলুজ্জামান ওরফে রাসেলকে দেড় বছর এবং তার সোর্স হাসান মিয়াকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইল কোর্ট পরিদর্শক (প্রশাসন) মো. তানবির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় একজন উপসহকারি পুলিশ পরিদর্শক, তিন কনস্টেবল ও অপর এক সোর্সকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডিত রাসেলুজ্জামান ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মোজাটি চরপাড়া গ্রামের মো. আক্তারুজ্জামানের ছেলে। হাসান মিয়া মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল নয়াপাড়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
খালাসপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- বাঁশতৈল ফাঁড়ির সাবেক উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) রিয়াজুল ইসলাম, কনস্টেবল গোপাল চন্দ্র সাহা, তোজাম্মেল হক ও আব্দুল হালিম এবং সোর্স আল আমিন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, দণ্ডিত কনস্টেবল রাসেলুজ্জামান ও সোর্স হাসান মিয়াসহ মির্জাপুর থানার বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির আরও চার পুলিশ সদস্য এবং আরও এক সোর্স গত ২৮ নভেম্বর (২০১৯) পাশ্ববর্তী সখীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় যান। তারা ওই এলাকার বজলুর রহমান নামে এক দিনমজুরের পকেটে ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে জোর করে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তোলেন।
বজলুরের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে অটোরিকশা আটক করে। বজলুরের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে উপস্থিত লোকজন পুলিশ ও সোর্সদের তল্লাশি করে কিছু ইয়াবা পান। এতে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশ ও সোর্সদের পিটুনি দিয়ে একটি দোকানে আটকে রাখেন। পরে খবর পেয়ে সখীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। এর আগেই তিনজন কৌশলে পালিয়ে যায়। আমাদের সময়