সাধারণত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিমরা ৭৮৬ সংখ্যাকে বিসমিল্লাহ হিসেবে বিশ্বাস করেন। যদিও এর দ্বারা মূলত উদ্দেশ্য ‘বিসমিল্লাহ’ এর আরবি সংখ্যার মান বুঝানো । এই ট্যাটুর কারণে এক মুসলিম যুবকের হাত কেটে দিয়েছে কট্টর হিন্দু দুর্বৃত্তরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, ভারতের পানিপথে ইখলাখ সালমানি নামে এক যুবকের হাত কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
ইখলাখের ভাই বলেন, হাতে উল্কি করে বিসমিল্লাহ। কল্পনাতেও ভাবতে পারেনি, এই কারণে হাতটাই কেটে ফেলবে ওরা। ও জাতিতে মুসলিম শুনেই ওর হাতটা কেটে দেয় ওরা।
২৮ বছর বয়সী ইখলাখ পেশায় নাপিত। লকডাউনে কাজ নেই তাই গত ২৩ আগস্ট সাহারানপুর থেকে দুই চেনা ব্যক্তির সঙ্গে পানিপথে রওনা হন। ৩৩ কিলোমিটার চলার পর কৃষ্ণপুর অঞ্চলের মাথাগোজার ঠাঁই না পেয়ে আশ্রয় নেন এক পার্কে। রাতের অন্ধকারে তার নাম পরিচয় জানতে চায় দুই যুবক। অভিযোগ, নাম বলতেই ব্যাপক মার খান তিনি। এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ মারের চোটে দীর্ঘক্ষণ অচৈতন্য থাকার পর সামনের এক বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থাতেই পানি চাইতে যান তিনি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস এমনই যে, সেই বাড়ির দরজা খোলে ওই দুই যুবকই। এবার আরেক প্রস্থ অত্যাচারের পালা। প্রাণভিক্ষা চেয়েও লাভ হয়নি। ইখলাখকে তুমুল অত্যাচার করে ওই দুই যুবক।
তাদের চোখে পড়ে ইখলাখের হাতে একটি ট্যাটুতে লেখা ৭৮৬। দেখেই ওই দুই যুবক সিদ্ধান্ত নেয় তার হাত কেটে দেয়ার। ইখলাখকে ফেলে আসা হয় কিষাণপুর রেল স্টেশনের ধারে। পরদিন জ্ঞান ফিরতে ইখলাখ পথচারীদের সাহায্যে বাড়িতে খবর দেন।
অভিযোগ দায়ের করা হয় পানিপথের চাঁদনি বাগ স্টেশনে। ইখলাখের ভাইয়ের বক্তব্য, আমার ভাইয়ের জীবনটা ধ্বংস হয়ে গেল। ওরা আমার হাতই কাটেনি। ওর সমস্ত স্বপ্ন মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। হয়তো কোনোদিনই আর কোনো কাজ করতে পারবে না ও। আমি এর বিচার চাই।
তিনি জানিয়েছেন, ওই ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর থেকে ঘটনার সত্যতা জেনেছেন তিনি।