পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির ঘাও রাজ্য ও নাইজার সমুদ্র সংলগ্ন প্রচুর শহর এবং গ্রাম থেকে আইএস সন্ত্রাসীদের-কে তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন আল-কায়দার মুজাহিদিন।
আল-কায়েদা সমর্থিত ‘সাবাত নিউজ এজেন্সী’র বরাত দিয়ে আফ্রিকা ভিত্তিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গত আগস্ট মাসে আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা ভিত্তিক শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জিএনআইএম) এর মুজাহিদিন মালির ঘাও রাজ্যে আইএস নিয়ন্ত্রিত ৫টি এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন, এর মধ্য দিয়ে মালির ঘাও রাজ্য সম্পূর্ণরূপে আইএস মুক্ত করেছেন ‘জিএনআইএম’ এর মুজাহিদিন।
এমনিভাবে নাইজার সমুদ্র সংলগ্ন সন্ত্রাসী আইএস নিয়ন্ত্রিত আরো ১২টি শহর ও গ্রাম নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন আল-কায়েদা মুজাহিদিন। এর মাধ্যমে নাইজার সমুদ্র সংলগ্ন সকল এলাকা ও শহরের নিয়ন্ত্রণ হারালো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস।
আল-কায়েদা মুজাহিদিন কতৃক মুক্ত এইসব গ্রাম এবং শহরগুলো হল- বোরিম, থাবুয়, থিন-আউকার, ফরগো-সোনহাই, ডিজেবক, ওয়াবারিয়া, বারা, আনসঙ্গো, থিন-হাম, থিসিগ-বউরা, এনথ্রীলিথ, থেসিট, উট্টাগৌণা।
এদিকে গত জুলাই মাসে আইএস সন্ত্রাসীরা তাদের পুরানো সভাব অনুযায়ী বন্দুকের নলগুলো ক্রুসেডার ও মুরতাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার না করে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে শুরু করে। তারা মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রিত মালির বিভিন্ন স্থানে হামলা চালাতে শুরু করেছিলো। এমন পরিস্থিতেও আল-কায়দা মালি শাখার মুজাহিদিন প্রতিরোধ যুদ্ধ ব্যতিত অন্যসব এলাকার মতো আফ্রিকায়ও আইএসের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে চাননি।
তাই আল-কায়েদা মুজাহিদিনরা আইএস-কে নিজেদের মধ্যকার লড়াই বন্ধ করতে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানান। এই পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলও গঠন করা হয়, যাতে অংশগ্রহণ করে আইএসদের পক্ষ হতে ৬ সদস্য, আল-কায়েদার পক্ষ হতে ৮ জন এবং অন্যান্য আরো ২ জন। পরে উভয় দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু চুক্তির বিষয়গুলো পুরোপুরিভাবে নিজেদের মনমতো না হওয়ায় আইএস এই চুক্তি মানতে অস্বীকার জানায় এবং তারা পূণঃরায় মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালাতে শুরু করে।
সর্বশেষ, আল-কায়েদা মুজাহিদগণ বাধ্য হয়ে পশ্চিম আফ্রিকা থেকে আইএস নামক খারেজীদের ফেতনা নির্মূল করতে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। দীর্ঘ একমাসের যুদ্ধে আইএস সন্ত্রাসীরা মালি ও বুর্কিনা-ফাসোতে তাদের নিয়ন্ত্রিত সকল এলাকাগুলো হারায়, পরে তারা আশ্রয় নিতে থাকে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা নাইজারের সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলোতে। কিন্তু সেখানেও মুজাহিদগণ এই খারেজি গোষ্ঠী আইএসদেরকে ছাড় দেননি, সেখান থেকেও তাদেরকে তাড়িয়ে দেন মুজাহিদগণ। বর্তমানে নাইজারের অন্যান্য স্থানেও খারেজি গোষ্ঠী আইএসদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছেন মুজাহিদগণ।
আলহামদুলিল্লাহ
Alhamdulillah