দুই দশক আগে নির্মিত সেতুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে অনেক আগেই। দুইপ্রান্তে দুইটি বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, রডগুলো বেড়িয়ে আছে। লোহার ভিম ও পাতগুলোতে ধরেছে মরিচা। কোথাও আবার ভেঙে আছে। শুধু তাই নয়, সেতুতে ওঠা নামার সংযোগ সড়টিও নাজেহাল অবস্থা। একটু অসতর্কতার কারণে যে কোনো মুহুর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের পশ্চিম নেতা ও গন্ডাদুলা গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া রুপাইর খালের ওপর নির্মিত সেতুটির এমন চিত্র দেখা গেছে।
পথযাত্রীরা জানায়, একটি মোটরসাইকেল পারাপার হলেও সেতুটি কেঁপে ওঠে। তবুও কাছাকাছি বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ছয়টি গ্রামের মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে এ সেতু পারাপার হতে হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫-৯৬ সালে রুপাইর খালের উপর আয়রণ সেতু নির্মাণ করা হয়। কয়েক বছর আগে একবার সেতুটির সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু আবার সেতুটির দুইটি অংশে দুটি গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে সেতুটি।
পশ্চিম নেতা গ্রামের বাসিন্দা রুবেল হাওলাদার বলেন, এই সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ পারাপার হয়। কিন্তু একটা মোটরসাইকেল উঠলেই সেতু থরথর করে কেঁপে ওঠে।
গণ্ডাদুলা এম এইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. তাহমিদা সুলতানা বলেন, করোনার আগে প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা এই সেতু দিয়ে স্কুলে আসে। কিন্তু সেতুটি সংস্কার না হলে যে কোনো মুহুর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. জহির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ওই সেতুটি অনেক বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করবো।
কালের কন্ঠ