শ্রীলংকা সরকার মঙ্গলবার জানিয়েছে যে, দেশে শিগগিরই গরু জবাই নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে বৌদ্ধদের প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে এবং এই পদক্ষেপকে তাদের তুষ্ট করার পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
সরকার জানিয়েছে, চাষাবাদে অক্ষম বয়স্ক গবাদিপশুর ব্যাপারে প্রকল্প চুড়ান্ত করার পরেই এই নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। তবে পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন, শ্রীলঙ্কার বর্তমান সরকারের মুসলিমবিদ্বেষী নীতির ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই গরু জবাই নিষিদ্ধের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রতিবেশী ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার গরু জবাইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর রাস্তা ঘাটে বয়স্ক গরুর চড়ে বেড়ানোর মাত্রা বেড়ে গেছে, যাদের কারণে এমনকি রাস্তাঘাটে ট্রাফিক জ্যামেরও সৃষ্টি হচ্ছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শ্রীলংকায় গরুর মাংস খাওয়ার মাত্রা কমে গেছে। বৌদ্ধ ও হিন্দুরা ধর্মীয় কারণে গরুর মাংস এড়িয়ে চলে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই শিল্পটি সঙ্কুচিত হয়ে এসেছে। গত বছর গরুর মাংস বেচাকেনা হয়েছে মাত্র ২৯,৮৭০ টন, যেখানে এক দশক আগেও এই পরিমাণ ছিল ৩৮,৭০০ টন।
এই খাতে আধিপত্য রয়েছে মুসলিমদের, যারা শ্রীলংকার জনসংখ্যার ১০ শতাংশ। ২১ মিলিয়ন শ্রীলংকানদের মধ্যে বৌদ্ধ হলো ৭০ শতাংশ, আর হিন্দু রয়েছে ১২.৫ শতাংশ।
সরকারের মিডিয়া ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রামবুকবেলা বলেন, “এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়া মাত্রই, দেশে গরু জবাই নিষিদ্ধ হবে”। তবে গরুর মাংসের আমদানি অব্যাহত থাকবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গত বছর ১১৬ টন গরুর মাংস আমদানি করা