পানছড়ি-লোগাং সড়কে একসাথে আটটি ব্রিজের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাকির এন্টারপ্রাইজ। সবগুলো ব্রিজেই স্থানীয় ময়লাযুক্ত বালি, নিম্নমানের সামগ্রী, রাতের অন্ধকারে ঢালাই ও কোনো ওয়ার্ক অ্যাসিটেন্টের উপস্থিতি ছাড়াই কাজগুলো চলেছে এবং অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন। এদিকে ব্রিজ নির্মাণের শুরু থেকেই প্রতিটি ব্রিজের পাশে পুরনো পাটাতন দিয়ে তৈরি হয়েছে বিকল্প সড়ক। বিকল্প সড়ক টেকসই না করার ফলে নড়বড়ে পাটাতনগুলো বিশালাকার ফাঁক হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। যার ফলে নিত্য ঘটে চলেছে দুর্ঘটনা।
সন্ধ্যার পরে চলাচলকারী যানবাহনগুলো প্রায়ই পড়ছে দুর্ঘটনার কবলে। বিশেষ করে পুজগাং কিনাচান পাড়া এলাকার নওগাছড়ার বিকল্প সড়কটি যেন মরণফাঁদ। এই মরণফাঁদ পার হওয়ার সময় ঝনঝন শব্দে কেঁপে ওঠে আর পাটাতনগুলো বিশালাকার ফাঁক হয়- যেন কাউকে গ্রাস করার অপেক্ষা।
সিএনজিচালক নির্জন চাকমা জানান, ব্রিজটা খুব কষ্ট দিচ্ছে আমাদের। এটাতে উঠলেই ভয়ে গাড়ি চালানোর জ্ঞান হারিয়ে যায়। টমটমচালক সূর্য কিরণ চাকমা বলেন, এই ফাঁদে একটু ডান-বাম হলে যাত্রীও শেষ আমিও শেষ। তা ছাড়া জাকির এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পাহাড় কাটা ও অবৈধ বালু উত্তোলন করার মতো অভিযোগও রয়েছে। যা লোগাং বাজারের পাশে বিশালাকার পাহাড় কাটার সত্যতা মেলে।
পাহাড় কাটা ও অবৈধ বালু উত্তোলনের ব্যাপারে জাকির এন্টারপ্রাইজে কর্মরতরা স্থানীয় বালু খেকো জসিম উদ্দিনকে দায়ী করেছে। বিকল্প ব্রিজটি বেহালের ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে জাকির এন্টারপ্রাইজের সুপারভাইজার মো. শফিকুর রহমান জানান, আমরা এখন কর্মস্থলে নেই। আপনি সড়ক ও জনপথের তত্ত্বাবধায়ক সবুজের সাথে যোগাযোগ করেন।
সবুজের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সল বলেন, সড়কটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। আপনার মাধ্যমেই ব্যাপারটি আমি জেনেছি। খুব সহসাই পাটাতনগুলো মেরামত করে বিকল্প ব্রিজটি নিরাপদে চলার উপযোগী করে তোলা হবে।
কালের কন্ঠ