চলতি বছরের ২৫ ডিসেম্বরের আগেই আফগানিস্তান থেকে সকল সেনা সরিয়ে নিতে চাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এক টুইটবার্তায় ট্রাম্প লিখেন- ‘বড়দিনের মধ্যে আফগানিস্তানে আমাদের অবশিষ্ট ‘বীর পুরুষ ও নারীদের’(সৈন্য) ফিরিয়ে আনা উচিৎ বলে মনে করছি।’
ট্রাম্পের এই টুইটের পর বিশ্লেষকেরা বলছেন, অনেক দেরিতে হলেও ট্রাম্প-প্রশাসন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনটা হলে আফগানিস্তানে দীর্ঘমেয়াদী শান্তিপ্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে।
এর আগে আফগানিস্তানে মার্কিন সুরক্ষাবিষয়ক দুই শীর্ষ কর্মকর্তা রবার্ট ও ব্রায়ান জানিয়েছিল, তারা আগামী বছরের শুরুর দিকে মার্কিন সৈন্য কমিয়ে আড়াই হাজারে নিয়ে আসতে চায়। বাকি সৈন্যরা চুক্তি অনুযায়ী ২০২১ সালের মে মাসের মধ্যে আফগান ছাড়বে।
সেনা কর্মকর্তাদের এই বিবৃতি ট্রাম্পের বিবৃতির সম্পূর্ণ বিপরীত।
তবে বিশ্লেষকদের মত, মার্কিন সৈন্যরা প্রতিদিন যেভাবে তাদের সামরিক ঘাঁটিগুলো গুটিয়ে নিয়ে রাজধানীর দিকে ফিরছে, তাতে মনে হয় প্রত্যাহার-প্রক্রিয়ায় কালবিলম্ব করবে না যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরেই আফগান ছাড়বে অবশিষ্ট সৈন্যরা।
মার্কিনীদের এভাবে লেজগুটিয়ে ফিরে যাওয়া মেনে নিতে পারছে না আঞ্চলিক তাবেদার গোষ্ঠীগুলো। তালেবানের এই বিজয়ে অস্তিত্বসংকটে আশরাফ গনি ও ইমরান প্রশাসন। ব্রাহ্মণ্যবাদী মোদি সরকারও অসহায় দীর্ঘঃশ্বাস ছাড়ছে।
৭ অক্টোবর আফগানিস্তানে ক্রুসেডার মার্কিন ও ন্যাটো জোটের আগ্রাসনের ১৯ বছর পূর্ণ হলো। ২০০১ সালের ওই দিনে রাত্রিবেলা তালেবান খিলাফাহর পতন ঘটাতে মোল্লা মুহাম্মদ ওমর রহিমাহুল্লাহর বাড়িতে হামলার মধ্যদিয়ে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে পশ্চিমা ক্রুসেডার ও তাদের মিত্ররা। এরপর দীর্ঘ ১৯ বছর যাবৎ দেশটিতে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে ক্রুসেডার মার্কিন শক্তি।
ধ্বংস হোক মার্কিন কুত্তাদের।